বিসিএস প্রস্ততি | ভূগোল ও পরিবেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

বিসিএস ভূগোল ও পরিবেশ প্রস্তুতি এবং ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে বিস্তারিতঃ প্রিয় পাঠক আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা বিসিএস প্রস্ততি | ভূগোল ও পরিবেশ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আলোচনা করবো। আশা করি আজকের আর্টিকেল টি অনেক হেলপফুল হবে।

আমরা আগেই জেনেছি যে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী গ্রিন হাউজ ইফেক্ট। আর বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড এবং বায়ুমণ্ডলের ওজনস্তরের ফাটলের জন্য দায়ী সিএফসি গ্যাস, যার পূর্ণরূপ ক্লোরোফ্লোরো কার্বন । বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ুর এই পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের নিম্ন অঞ্চল সাগরের তলদেশে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বৈশ্বিক এই জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বের বিভিন্ন পদক্ষেপ এক পলকে দেখে নেয়া যাক।

বৈশ্বিক পরিবেশ ও জলবায়ুগত সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উদ্যোগে

স্টকহোম সম্মেলন 

১৯৬৮ ১৯৬৮ সালের স্টকহোম সম্মেলনটি আন্তজার্তিক পর্যায়ে পরিবেশ সংক্রান্ত নিয়মকানুন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ সম্মেলনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যেমন

  • রাষ্ট্রের সার্বভৌম ও আন্তর্জাতিক দূষণ এর মধ্যে একটি সমন্বয় সাধন করতে হবে।
  • পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান (Action Plan) গ্রহণ করা হয়।
  • ৫ জুনকে বিশ্ব পরিবেশ দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
  • ইউএনইপি (Unted Nation Environment Programme. 
  • UNEP) গঠন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়; যা পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর সদর দপ্তর কেনিয়ার নাইরোবিতে।

ক্রন্টল্যান্ড কমিশন

১৯৮৩ ১৯৮৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ পরিবেশ ও উন্নয়নবিষয়ক বিশ্ব কমিশন (The Word Commission on Environment and Development) গঠন করে। এ কমিশনকে যে তিনটি উদ্দেশ্য সম্পাদনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হলো, পরিবেশ ও উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পুনরায় পরীক্ষা করে এগুলোর উন্নতি বিধানকল্পে যে কার্যব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সে সম্পর্কে বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনাবলি তৈরি করা।

ধরিত্রী সম্মেলন- ১৯৯২:

ব্রাজিলের রিওডি জেনেরিওতে প্রথম বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়- ১৯৯২ সালের ৩ -১৪ জুন। এখানে ১৮৫টি দেশের সাড়ে ি হাজার প্রতিনিধি অংশ নেন। রিও ডি জেনিরোতে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব পরিবেশ ও উন্নয়নের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য ২৭টি নীতিমালা অনুমোদন করা হয়। এই সম্মেলনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো ছিল- Agenda 21, Rio declaration on Environment and Development ও নীতিমালা, Convention of Climate Change Convention of Biological Diversity United Nations Framework Convention on Climate Change (UNFCCC) প্রতিষ্ঠা করা হয়।

ধরিত্রী সম্মেলন প্লাস ফাইভ- ১৯৯৭

১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে Rio+S সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ৬১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানগণ যোগ দেন। এতে “The Program for Further Implementation of Agenda 21” গৃহীত হয়। 

কিয়োটো সম্মেলন ১৯৯৭: 

  • পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি প্রতিরোধ বিষয়ক বিশ্বসম্মেলন ১৯৯৭ সালে ১১ ডিসেম্বর জাপানের প্রাচীন রাজধানী কিয়োটোতে অনুষ্ঠিত হয়। এত বিশ্বের ১৬০টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।
  • সম্মেলনে গ্রিন হাউস গ্যাস উদগিরণ হ্রাসে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
  • ২০০৮ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে উন্নত দেশগুলো কার্বন তথা CO, নিঃসরণ গড়ে ৫.২ শতাংশ হ্রাস করতে এবং ২০ এফসি (CFC) নিঃসরণ ১৯৯০ সালের পর্যায়ে স্থির রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়।

হেগ সম্মেলন

২০০০ সালে নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে জাতিসংঘের বিশ্বপরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলন বিশ্বের তাপমাত্রা কমানোর বিষয়ে আলোচনা হলেও তা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ব্যর্থ হয়।

ধরিত্রী সম্মেলন 200

২০০২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে পরিবেশ বিপর্যয় সংক্রান্ত পূর্ববর্তী সম্মেলনের ঘোষণাগুলো বাস্তবায়নের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার উপর জোর দেওয়া হয়। সেজন্যে “Johannesburg Plan of Implementation” গৃহীত হয়। “Johannesburg Plan of Implementation” এ সুশাসনের সঙ্গে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। এক সম্মেলনকে ‘দ্বিতীয় বিশ্ব বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন’ও বলা হয়। দ্বিতীয় বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনে মোট ৩৭টি অঙ্গীকার গ্রহণ করা হয়

বালি  সম্মেলন ২০০৭ 

UNFCCC- এর উদ্যোগে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালি দ্বীপে ১৯২টি দেশের প্রায় ১০ হাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ১৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ১৯৯৭ সালে স্বাক্ষরিত কিয়োটো প্রটোকলের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয় এবং ২০০৯ সালের মধ্যে একটি নতুন চুক্তি স্বাক্ষরের কথা বলা হয়।

কোপেনহেগেন সম্মেলন ২০০৯:

বালি দ্বীপের সম্মেলনের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালে ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত ১৫তম সম্মেলন। সম্মেলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ গরিব দেশগুলোকে সহায়তার জন্য “Green Climate Fund” গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (যদিও “Green Climate Fund ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়।) এই সম্মেলনটি “Copenhagen Accord” নামে পরিচিত।

 কানকুন সম্মেলন ২০১০:

২০১০ সালে মেক্সিকোর কানকুনে অনুষ্ঠিত হয় জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত ১৬তম সম্মেলন। কানকুন সম্মেলনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এই সম্মেলনেই প্রথম বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিল্পবিপ্লবপূর্ব সময়ের সাপেক্ষে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার বিষয়ে অঙ্গীকার করা হয়। তবে সেখানে কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা নেই। এটি “Cancun Agreement” নামে পরিচিত। কানকুন সম্মেলনের আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, এই সম্মেলনে বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ গরিব দেশগুলোকে সহায়তার জন্য “Green Climate Fund” গঠন করা হয়। ২৪ সদস্যের একটি দল এ ফান্ডটি পরিচালনা করবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আগামী ২০২০ সাল পর্যন্ত ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ধনী দেশগুলো প্রতি বছর এ ফান্ডে ১০০ বিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়।

ডারবান সম্মেলন ২০১১

২০১১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠিত ১৭তম জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনটি ডারবান রোডম্যাপ’ বা ‘ভারবান প্লাটফর্ম’ নামে পরিচিত। ডারবান রোডম্যাপ’-এর প্রধান উল্লেখযোগ্য দিক হলো, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে একটি অভিন্ন আইনি বাধ্যবাধকতার চূড়ান্ত রূপরেখা প্রণয়নে সবাই একমত হয়েছেন।

দোহা সম্মেলন ২০১২:

২০১২ সালের কাতারের রাজধানী দোহায় COP-18 অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের প্রধান দিক হলো কিয়োটো প্রটোকল’-এর মেয়াদ ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দোহা সম্মেলনের আরেকটি দিক হলো, এই সম্মেলনে প্রথম জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য “Loss and Damage” নিয়ে আলোচনা করা হয়।

রিও+২০ সম্মেলন ২০১২

১৯৯২ সালে রিও ডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে ২০১২ সালে পুনরায় ব্রাজিলের রিওডি জেনিরোতে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন। এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সম্মেলন নামে পরিচিত। রিও+২০ সম্মেলনের মূল শ্লোগান ছিল দুটি। ১. টেকসই উন্নয়ন এবং দরিদ্র বিমোচনে সবুজ অর্থনীতি এবং ২. টেকসই উন্নয়নের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো তৈরি, টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে একটি আলাদা গুরু হিসেবে মেনে নেয়া হবে বলে বলা হয় সম্মেলন।

ওয়ারশ সম্মেলন-২০১৩:

২০১৩ সালে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশে COP-19 অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনের প্রধান দিক হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য “Warsaw Mechanism on Loss and Damage” নিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশ ও উন্নয়নশীল দেশের মাঝে সমঝোতা হয়। এই সম্মেলনে ২০১৫ সালের প্যারিস জলবায়ু চুক্তির একটি একটি খসড়া করা হয়।

লিমা সম্মেলন-২০১৪

২০১৪ সালের পেরুর রাজধানী লিমায় COP-20 অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ ও বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। এই সম্মেলনের প্রধান দিক হলো, পরিবেশে কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্রতিটি দেশের দায়িত্ব কী হবে তা নির্ধারণের কাঠামো অনুমোদিত হয় এবং ২০১৫ সালে প্যারিস জলবায়ু সম্মেলনে এই কাঠামো নতুন একটি আন্তর্জাতিক চুক্তিতে পরিণত করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

প্যারিস সম্মেলন ২০১৫ :

২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর ১২ ডিসেম্বর ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ রূপরেখা কনভেনশন (UNFCCC) এর COP-21 অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনে Adoptation of the Pairs Agreement’ শীর্ষক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর বিষয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ সম্মেলনে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ২১০০ সালের মধ্যে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই সম্মেলনে UNFCCC এর ১৯৪টি সদস্য দেশ ও ১টি সংস্থাসহ মোট ১৯৫টি সদস্যের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে।

ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন

  • প্রথম বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কোথায়?
  • – রিও ডি জেনিরো, 
  • প্রথম বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন করে অনুষ্ঠিত হয়। 
  • -১৯৯২ সালে 
  • প্রথম বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলনের মাধ্যমে কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়?
  • – UNFCCC
  • ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’ তদারকির দায়িত্বে আছে বিশ্বের কোন সংগঠনটি?
  • -UNFCCC
  • ‘বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন’ (COP) আয়োজন করে কোন সংগঠনটি?
  • -UNFCCC 
  • UNEP কত সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। 
  • ১৯৭২ সালে
  • পরিবেশ রক্ষাকারী জাতিসংঘের সংগঠনের নাম কী?
  • – LINEP
  • জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা (UNEP) ও জলবায়ু বিষয়ক সংস্থা (WMO)-এর সমন্বিত উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় কোন সংগঠনটি? 
  • IPCC
  • বিশ্ব জলবায়ু বিষয়ক আন্তঃসরকার কর্তৃক গঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠন কোনটি?
  • – IPCC 
  • জলবায়ু বিষয়ক বিশ্বের সর্বোচ্চ সংগঠন কোনটি? 
  • – IPCC
  • জলবায়ু বিষয়ক বিশ্বের সর্ববৃহৎ সংগঠন কোনটি?
  • – UNFCCC 
  • শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ
  • – চীন
  • মাথাপিছু শীর্ষ কার্বন নিঃসরণকারী দেশ 
  • যুক্তরাষ্ট্র
  • সর্বোচ্চ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণকারী দুটি দেশ হলো- 
  • চীন ও যুক্তরাষ্ট্র 
  • কার্বন প্রভাবমুক্ত বিশ্বের প্রথম দেশ
  • – ভুটান
  • বিশ্বের বৃহত্তম বন
  • – আমাজন বন।
  • আমাজনের বেশির ভাগ অংশ পড়েছে 
  • ব্রাজিলে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অর্থনীতির জনক (Father of Climate Change Economy) বলা হয়
  • – যুক্তরাষ্ট্রে উইলিয়াম নর্ডহাসকে।
  • বাংলাদেশের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় এর নাম পরিবর্তন করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় করা হয়
  • – ২০জুন, ২০১৮ সালে।
  • সম্প্রতি ৮ জানুয়ারি ২০১৮ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে
  • – ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। 
  • আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট (IFRC)-এর “বিশ্ব দুর্যোগ রিপোর্ট-২০১৮’ অনুযায়ী গত ১০ বছরে সবচেয়ে বেশি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে
  • – চীনে, দ্বিতীয় যুক্তরাষ্ট্রে।
  • আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট (IFRC)-এর ‘বিশ্ব দুর্যোগ রিপোর্ট-২০১৮’ অনুযায়ী গত ১০ বছরে দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের, 
  • দ্বিতীয় চীনের।
  • ‘V-20’ গ্রুপ হলো- 
  • বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তে ঝুঁকিপূর্ণ দেশসমূহের সমন্বয়ে গঠিত বৈশ্বিক জোট। 
  • বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সুনামি আঘাত হেনেছিল 
  • ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর।
  • বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সুনামির উৎপত্তির স্থান ছিল
  • – ভারত মহাসাগর
  • ২০০৪ সালের বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সুনামিতে নিহত হয়েছিল 
  • প্রায় ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ। 
  • ২০০৪ সালের বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সুনামিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ/নিহত হয়েছিল
  • – ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে।
  • ২০০৪ সালের সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে নিহত হয়েছিল 
  • প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ।
  • ২০০৪ সালের বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সুনামি আঘাত হেনেছিল
  • – বিশ্বের ১৪টি দেশে। 
  • বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যা হয়েছিল 
  • ১৯৯৮ সালে।
  • প্রবল বৃষ্টিপাতে বাংলাদেশে জমির মালিকগণ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়
  • – জুন-সেপ্টেম্বর মাসে।
  • বিপর্যয় পরবর্তী ঘটনা হলো
  • – দুর্যোগ
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার চক্রের ধাপ
  • – ৬টি 
  • বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় কাজ করা হয়
  • – ৩টি পর্যায়ে।
  • বাংলাদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার তথ্যকেন্দ্র রয়েছে
  • – ৪১০টি। 
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বেশি কাজ সম্পন্ন করতে হয় 
  • দুর্যোগ পূর্ব সময়ে।
  • দুর্যোগ পূর্ব সময়ে দুর্যোগের ঝুঁকি কমানোর ব্যবস্থাপনাসমূহকে বলা হয়
  • – দুর্যোগ পূর্ব-প্রস্তুতি। 
  • দুর্যোগের দীর্ঘস্থায়ী হ্রাস ও দুর্যোগ পূর্ব প্রস্তুতিকে বলা হয়
  • – দুর্যোগ প্রশমন।
  • দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে ব্যয়বহুল হলো
  • – কাঠামোগত দুর্যোগ প্রশমন।
  • দুর্যোগ-পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনাকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বলা হয়
  • – পুনরুদ্ধার। 
  • প্যারিস জলবায়ু চুক্তি বাস্তবায়নে ‘রুপবুক’ প্রণীত হয় ২০১৮ সালের ‘কপ
  • -২৪” সম্মেলনে।
  • ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় বজ্রপাতের গতিবেগ ঘণ্টায় 
  • প্রায় ২, ২০,০০০ কিমি। 
  • এশিয়ার যে অঞ্চলে সারা বছর পরিচলন বৃষ্টি হয় 
  • মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায়।
  • যে রাসায়নিক পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে দিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ কমানো যায়
  • – সিলভার আয়োডাইড। 
  • জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পদক/পুরস্কার
  • – চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ
  • যে প্রাকৃতিক দুর্যোগটি কেবল সাগরে দেখা যায়
  • – সুনামি। 
  • যে প্রাকৃতিক দুর্যোগটি কোনোরূপ পূর্বাভাস ছাড়াই সংগঠিত হতে পারে
  • – ভূমিকম্প।
  • বাংলাদেশের উপকূলীয় সমভূমিতে বসবাসকারী জনগোষ্ঠী যে ধরনের বন্যায় করণীত হয়
  • – জলোচ্ছ্বসজনিত বন্যা। 
  • যে ধরনের বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি
  • – মৌসুমি বন্যা।
  • দীর্ঘস্থায়ী বন্যা মৌসুমি বন্যা ক্ষণস্থায়ী বয়া
  • – জোয়ার-ভাটাজনিত বন্যা। 
  • ঘূর্ণিঝড় যে ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ
  • – সাময়িক দুর্যোগ।
  • স্বাংলাদেশের যে অঞ্চল অধিক ভূমিকম্পপ্রবণ
  • – উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল। 
  • বাংলাদেশের যে অঞ্চল খরায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়
  • – উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল।
  • বাংলাদেশের যে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় বেশি হয় 
  • দক্ষিণ অঞ্চলে।
  • ভূমিকম্পের সাথে যে ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকে
  • – সুনামি। 
  • যে সময়ে বাংলাদেশে নদী ভাঙনের ঘটনা বেশি ঘটে
  • – বর্ষাকালে।
  • সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে সংযোগকারী রেখাকে বলা হয়
  • – আইসোহাইট। 
  • “সার্ক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কেন্দ্ৰ’ অবস্থিত
  • – নয়া দিল্লি।
  • সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র’ অবস্থিত ছিল 

—ঢাকা।

  • ১” দ্রাঘিমা সমান

– ৪ মিনিট।

  • যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত গ্রীনিচ মানমন্দিরের সময়ের সাথে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য

—+৬ ঘণ্টা ।

১। প্রাচীন ‘পুণ্ড্রনগর’ কোথায় অবস্থিত?

(ক) ময়নামতি

(খ) বিক্রমপুর 

(গ) মহাস্থানগড়

(ঘ) পাহাড়পুর

২। নিম্নলিখিত কোনটির ওপর বাংলাদেশ অবস্থিত?

(ক) ট্রপিক অব ক্যাপ্রিকন 

(খ) ট্রপিক অব ক্যানসার 

(গ) ইকুয়েটর 

(ঘ) আর্কটিক

সার্কেল উত্তর : খ.

৩। বাংলাদেশের কোন জেলাটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তের মধ্যে নয়?

(ক) পঞ্চগড়

(খ) সাতক্ষীরা

(গ) হবিগঞ্জ

(ঘ) কক্সবাজার

উত্তর: খ

৪।  বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী কোন জেলার সাথে ভারতের কোনো সংযোগ নেই?

(ক) বান্দরবান

(খ) চাঁপাইনবাবগঞ্জ

(গ) পঞ্চগড়

(ঘ) দিনাজপুর 

উত্তর ক

৫। ভারতের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত জেলা কয়টি?

(ক) ২৮

(খ) ৩০

(গ) 02

(ঘ) ২৫

উত্তর: ঘ

৬। ফারাক্কা বাঁধ বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে কত দূরে অবস্থিত?

(ক) ২৪.৭ কিলোমিটার

(খ) ২১.০ কিলোমিটার

(গ) ১৯.৩ কিলোমিটার

(ঘ) ১৬.৫ কিলোমিটার

.৭। উপকূল হতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমুদ্রসীমা কত? 

(ক) ২২৫ নটিক্যাল মাইল 

(ঘ) ২০০ নটিক্যঅল মাইল

(গ) ২৫০ নটিক্যাল মাইল 

(ঘ) ১০ নটিক্যাল মাইল

উত্তর: ঘ

৮। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা কত?

(ক) ১২ নটিক্যাল মাইল

(খ) ২০০ নটিক্যাল মাইল

(গ) ১৪ নটিক্যাল মাইল

(ঘ) ৪০০ নটিক্যাল মাইল

উত্তর: ক.

৯।  বাংলাদেশের লোকশিল্প যাদুঘর কোথায় অবস্থিত?

(ক) আগারগাঁও

(খ) কুমিল্লা 

(গ) শাহবাগ 

(ঘ) সোনারগাঁও

উত্তর: ঘ

১০। .মিয়ানমার বাংলাদেশের কোন দিকে অবস্থিত?

(ক) দক্ষিণ-পূর্ব

(খ) উত্তর-পূর্ব

(গ) পূর্ব

(ঘ) পশ্চিম

উত্তর: ক

১১। নিচের কোন জেলাটির সাথে মিয়ানমারের সীমান্ত আছে?

(ক) কুমিল্লা

(খ) বান্দরবান

(গ) চট্টগ্রাম 

(ঘ) ফেনী

১২। . বাংলাদেশের মোট সীমারেখার পরিমাপ কত?

(ক) ৫২৮২ কি.মি.

(খ) ৫১৩৮ কি.মি.

(গ) ৪১৫৬ কি.মি. 

(ঘ) ৫০৪২ কি.মি.

উত্তর : খ

১৩।  নিচে উল্লিখিত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কোন কোন রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে?

(ক) পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মেঘালয় রাজ্য

(খ) ত্রিপুরা, মিজোরাম, বার্মা ও আসাম

(গ) সিলেট, করিমগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয়

(ঘ) মেঘালয়, বেনাপোল, আসাম ও ত্রিপুরা

১৪।  মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য 

(ক) ২০৬ কি.মি.

খ) ২৩৬ কি.মি.

(গ) ২৬০ কি.মি.

(ঘ) ২৮০ কি.মি.

উত্তর: ঘ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *