বাংলা ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কিঃ প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আপনাকে স্বাগতম আমাদের ওয়েবসাইটে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে মূলত শিক্ষা মূলক পোস্ট করে থাকি এবং বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতি এবং নিউজ বিষয়ে পোষ্ট করি । আজকে আমরা বাংলা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয় কয়টি এবং বাংলা ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কি নিয়ে বিশদ আলোচনা করব। তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের টপিক নিয়ে আলোচনা।
বাংলা ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ
ড. মুহম্মদ এনামুল হক বাংলা ভাষার ব্যাকরণের তিন রকম শ্রেণিবিভাগ করেছেন:
১. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ
২. তুলনামূলক ব্যাকরণ
৩. ব্যবহারিক ব্যাকরণ
অন্যদিকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ব্যাকরণের ক্সবশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করে
ব্যাকরণকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যাকরণবিদ ড.
সুনীতিকুমারের শ্রেণিবিভাগটিকে গ্রহণ করেছেন। তাঁর ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ নিম্নরূপ:
১. বর্ণনামূলক ব্যাকরণ
২. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ
৩. তুলনামূলক ব্যাকরণ
৪. দার্শনিক —বিচারমূলক ব্যাকরণ
১. বর্ণনামূলক ব্যাকরণ: বিশেষ কোনো কালের কোনো একটি ভাষারীতি ও
তার প্রয়োগ সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া এ জাতীয় ব্যাকরণের বিষয় এবং সেই
বিশেষ কালের ভাষার যথাযথ ব্যবহার নির্দেশও এর লক্ষ্য।
২. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ: কোন নির্দিষ্ট যুগের ভাষাগত প্রয়োগরীতি আলোচনা
করে আলোচনা এ জাতীয় ব্যাকরণের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
৩. তুলনামূলক ব্যাকরণ: বিশেষ কোন কালের বিভিন্ন ভাষার গঠন ও প্রয়োগরীতির
তুলনামূলক আলোচনা এ জাতীয় ব্যাকরণের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
৪. দার্শনিক—বিচারমূলক ব্যাকরণ: ভাষার অন্তর্নিহিত চিন্তা ও প্রণালি আবি®‥ার ও
অবলম্বন করে সাধারণভাবে কিংবা বিশেষভাবে ভাষার রূপের উৎপত্তি।
উল্লিখিত চারটি বিষয় বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক প্রকারভেদ যা সহজে
উপলদ্ধি করা যায়
বাংলা ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা :
ভাষাকে শুদ্ধরূপে জানা ও ব্যবহার করার জন্য ব্যাকরণ পাঠ অপরিহার্য। কারণ
ভাষার চলার পথ সুনির্দিষ্ট করে দেয়া ব্যাকরণের কাজ। নিচে ব্যাকরণের
প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে দেখানো হল:
১. ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি জানা।
১. সঠিক উচ্চারণ ও বানান শেখা।
২. শব্দের ব্যবহার, গঠন ও অর্থ নির্ণয়।
৩. বাক্য গঠন ও ভাব প্রকাশ।
৪. কবিতা এবং গানের ছন্দ ও অলঙ্কার জানার ইচ্ছা।
৫. সাহিত্যের দোষ, গুণ সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ।
বাংলা ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসম্ভার:
- ব্যাকরণ হচ্ছে ভাষার—সংবিধান।
- ভাষা সংক্রান্ত নির্দেশনা অন্তভুর্ক্ত থাকে— ব্যাকরণে।
- ব্যাকরণ শব্দটি ব্যুৎপত্তি— বি + আ+ কৃ+ অন।
- ব্যাকরণ অর্থ— বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
- ব্যাকরণের কাজ— ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবি®‥ার করা বা ভাষার বিশ্লেষণ।
- প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ— পাণিনি।
- বাংলা ভাষার ‘ব্যাকরণ’ শব্দটি এসেছে— সং¯‥ৃত ভাষা থাকে।
- ভাষার সুনির্দিষ্ট গতিপথ নির্ধারণ করে— ব্যাকরণ।
- ‘ভাষা—প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ গ্রন্থের রচয়িতা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা পরিচয়।
- রাজা রামমোহন রায়ের বাংলা ব্যাকরণের নাম গে․ড়ীয় ব্যাকরণ।
- ‘বাংলা শব্দতত্ত্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন মানো—এল—দ্যা—আসসুম্পসাঁও।
- বাংলা ভাষার ব্যাকরণ প্রথমে পতুর্গালের রাজধানী লিস্বন শহর থেকে
- রোমান হরফে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হয়।
আড়ও পরুন
পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি সাহিত্যিক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর: বিসিএস পরীক্ষার জন্য পিএসসি কর্তৃক 11 জন কবি সাহিত্যিক নির্ধারণ করে দিয়েছেন কৃষি মন্ত্রণালয়। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি চাকরির পরীক্ষায় উপরোক্ত 11 জন কবি সাহিত্যিক থেকে প্রশ্ন প্রায়ই আসে। পিএসসি কর্তৃক 11 জন কবি সাহিত্যিক গুলো হলেন – ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, মীর মোশারফ হোসেন, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীমউদ্দী্ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দীনবন্ধু মিত্র, কায়কোবাদ, ফররুখ আহমদ ।নিম্নে আমরা উপরোক্ত 11 জন কবি সাহিত্যিক থেকে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় বারবার আসা প্রশ্ন গুলো একসাথে তুলে ধরেছি। আশা করি আজকের আর্টিকেলটি তোমাদের অনেক উপকারে আসবে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষার জন্য।
পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি সাহিত্যিক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর
পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি সাহিত্যিক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর নিম্মে দেওয়া হলঃ
ঈশ্বরচন্দ্রবিদ্যাসাগরঃ (১৮২০-১৮৯১)
১। বিদ্যাসাগর কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? 🙋Answer: ১৮২০ সালে
২। বিদ্যাসাগর উপাধি দেয়া হয় কোথা থেকে? 🙋Answer: সংস্কৃত কলেজ থেকে
৩। বাংলা গদ্যের জনক হিসেবে খ্যাত কে? 🙋Answer: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৪। বাংলা গদ্যে যতি বা বিরামচিহ্ন প্রথম স্থাপন করেন কে? 🙋Answer: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
৫। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি মৌলিক রচনার নাম কি কি? 🙋Answer: অতি অল্প হইল, আবার অতি অল্প হইল, ব্রজবিলাস, বিধবা বিবাহ ও যশোরের হিন্দু ধর্মরক্ষিণী সভা, রত্ন পরীক্ষা।
৬। ঈশ্বরচন্দ্রের কয়েকটি বিখ্যাত গদ্যগ্রন্থের নাম কি কিঃ 🙋Answer:- বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার বনবাস ও ভ্রান্তিবিলাস।
৭। বিদ্যাসাগরের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ কোনটি? 🙋Answer: বেতাল পঞ্চবিংশতি (১৮৪৭)
৮। বিদ্যাসাগর রচিত ব্যাকরণগ্রন্থের নাম কি? 🙋Answer: ব্যাকরণ কৌমুদী
৯। বিদ্যাসাগর কোন আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন? 🙋Answer: বিধবা বিবাহ আন্দোলন
১০। বিদ্যাসাগর কোন সালে মৃত্যুবরণ করেন? 🙋Answer: ১৮৯১ সালে।
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)
১। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে জন্মগ্রহন করেন? ১৮৯৯ সালে
২। বাংলাদেশের রণসঙ্গীতের রচয়িতা কে? 🙋Answer: কাজী ন নজরুল ইসলাম
৩। নজরুলের কোন কবিতা প্রকাশিত হলে তিনি গ্রেফতার হন? 🙋Answer: আনন্দময়ীর আগমনে
৪। কাজী নজরুল ইসলামকে রবীন্দ্রনাথ তাঁর র কোন রচনাটি উৎসর্গ করন? 🙋Answer: বসন্ত
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নজরুল তার কোন রচনাটি উৎসর্গ করেন? 🙋Answer: সঞ্চিতা
৬। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি? 🙋Answer: ব্যথার দান (১৯২২) ৭। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কবিতার নাম কি? 🙋Answer: মুক্তি
৮। নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের নাম কি? 🙋Answer: অগ্নিবীনা
৯। নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি? 🙋Answer: সন্ধ্যা, নতুন চাঁদ, ছায়ানট, প্রলয় শিখা, অগ্নিবীনা, সাত ভাই চম্পা, সিন্দুহিন্দোল, ফনিমনসা, চক্রবাক, সর্বহারা, ঝড় হাওয়া, জিঞ্জির, সাম্যবাদী, মরুভাস্কর, শেষ সওগাত, ঝিঙ্গেফুল, বিষের বাশি, দোলনচাঁপা
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
কোনো এক সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখার সময় ছায়ানটে লাগা প্রলয় শিখার অগ্নিবীনা দেখে সাত ভাই চম্পা, দোলনচাঁপা ও ফনিমনসারা চক্রবাক হয়ে সর্বহারার মতো ঝড় হাওয়ার গতিতে জিঞ্জিরার দিকে ছুটতে লাগল। সাম্যবাদী মরুভাস্করেরা শেষ সওগাত ঝিঙ্গেফুল ও বিষের বাশি হাতে নিয়ে সিন্দুহিন্দোলের দিকে এগিয়ে চললেন।
১০। নজরুলের উপন্যাসগুলো কি কি? 🙋Answer: বাঁধনহারা, কুহেলিকা ও মৃত্যুক্ষুধা।
১১। নজরুলের গল্পগ্রন্থগুলোর নাম কি? 🙋Answer: শিউলিমালা, ব্যথারদান ও রিক্তের বেদন।
১২। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে প্রথম ঢাকায় আসেন? 🙋Answer: ১৯২৬ সালে। ১৩৷ কাজী নজরুল ইসলাম মোট কতবার ঢাকায় আসেন? ১৩ বার।
১৪। কাজী নজরুল ইসলাম কোন সালে মৃত্যুবরন করেন? 🙋Answer: ১৯৭৬ সালে
কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১)
১। কায়কোবাদের প্রকৃত নাম কি? 🙋Answer: কাজেম আল কোরেশী। ২। কায়কোবাদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কি কি? 🙋Answer:মহাশ্মশান, অশ্রুমালা, বিরহ বিলাপ,
কুসুমকানন, শিবমন্দির, ও অমিয়ধারা। যুদ্ধের কাহিনী অবলম্বনে।
৩। কোন ঘটনা অবলম্বনে কায়কোবাদের মহাশ্মশান মহাকাব্যটি রচিত হয়? 🙋Answer: পানি পথের তৃতীয়
৪। বাঙ্গালী মুসলমান কবিদের মধ্যে প্রথম মহাকাব্য রচনা করেন কে? 🙋Answer: কায়কোবাদ।
৫। কায়কোবাদের রচিত কবিতার নাম কি? 🙋Answer: বাংলা আমার
৬। কায়কোবাদের অশ্রুমালা কাব্যগ্রন্থের মূল সুর কি? 🙋Answer: প্রেম-বেদনা, আবেগ ও আনন্দ বিরহ।
জসীমউদদীন (১৯০৩-১৯৭৬)
১। জসীমউদ্দীন কোথায় জন্মগ্রহন করেন? 🙋Answer: মাতুলালয়, তাম্বুলখানা গ্রাম, ফরিদপুর।
২। জসীমউদদীনের উপাধি কি? 🙋Answer: পল্লীকবি।
৩। জসীমউদ্দীন ছাত্র থাকা অবস্থায় তাঁর কোন কবিতা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমিকের পাঠ্যে তালিকাভুক্ত করা হয়? 🙋Answer: কবর কবিতা।
৪। কবর কবিতাটি জসীমউদদীনের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত? 🙋Answer: রাখালী।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
রঙ্গিলা নায়ের মাঝি হাসু রুপবতী সকিনা ও রাখালীকে নিয়ে বালুচরের ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে সোজান বাদিয়ার ঘাটে গিয়ে এক পয়সার বাঁশি কিনে ফিরে আসার সময় নকশী কাঁথার মাঠের মাটির কান্না দেখল।
৭। জসীমউদদীনের রচিত নাটকগুলো কি কি? 🙋Answer: পদ্মাপাড়, বেদের মেয়ে, মধুমালা, পল্লীবধূ ও গ্রামের মায়া।
৮। জসীমউদদীনের রচিত একমাত্র উপন্যাসের নাম কি? 🙋Answer: বোবা কাহিনী।
৯। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়? 🙋Answer: ১৯২৯ সালে।
১০। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদের নাম কি? 🙋Answer: ‘Field of the Embroidery Quilt.
১১। নকসী কাঁথার মাঠ কাব্যগ্রন্থটির ইংরেজি অনুবাদকের নাম কি? 🙋Answer: ই. এম. মরফোর্ড।
১২। জসীমউদদীনের ছদ্মনাম কি? জমীরউদ্দীন মোল্লা।
১৩। জসীমউদদীন কত সালে একুশে পদক পান? 🙋Answer: ১৯৭৬ সালে।
পিএসসি নির্ধারিত ১১ জন কবি সাহিত্যিক থেকে প্রশ্ন ও উত্তর
দীনবন্ধু মিত্র (১৮৩০-১৮৭৩)
১। নীলকরদের অত্যাচার অবলম্বনে রচিত দীনবন্ধু মিত্রের নাটকের নাম কি? 🙋Answer: নীল দর্পণ (১৮৬০)
২। দীনবন্ধু মিত্রের কাব্যগুলো কি কি? 🙋Answer: সুরধুনী কাব্য ও দ্বাদশ কবিতা।
৩। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত প্রহসনগুলো কি কি? 🙋Answer: বিয়ে পাগলা বুড়ো, সধবার একাদশী।
৪। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নাটকগুলো কি কি? 🙋Answer: নীল দর্পণ, নবীন তপস্বিনী, লীলাবতী, জামাই বারিক ও কমলে কামিনী।
৫। দীনবন্ধু মিত্রের রচিত নীল দর্পণ নাটকটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন কে? 🙋Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
৬৷ নীল দর্পণ নাটকটি প্রথম কোথায় মঞ্চস্থ হয়? 🙋Answer: ঢাকায়।
ফররুখ আহমেদ (১৯১৮-১৯৭৪)
১। ফররুখ আহমেদ কোথায় জন্মগ্রহন করেন? 🙋Answer: মাঝআইল গ্রাম, যশোর।
২। ফররুখ আহমেদ রচিত কাব্যগ্রন্থগুলোর নাম কি কি? 🙋Answer:সাত সাগরের মাঝি, নৌফেল, হাতেম
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়।
তায়ী, সিরাজাম মুনিরা ও মুহূর্তের কবিতা। ঝড়ের কবলে পরে সাত সাগরের মাঝি, হাতেম তায়ী- সিরাজাম মুনিরা ও নৌফেলকে বিপদের মুহূর্তের কবিতা পড়তে বললেন।
৩। ফররুখ আহমেদ রচিত শিশুতোষ গ্রন্থের নাম কি ? 🙋Answer: পাখির বাসা।
৪। ফররুখ আহমেদ রচিত পাখির বাসা গ্রন্থের জন্য তিনি কোন পুরস্কার লাভ করেন? ইউনেস্ক পুরস্কার (১৯৬৬)
৫। ফররুখ আহমেদ রচিত সাত সাগরের মাঝি গ্রন্থে কতটি কবিতা আছে? 🙋Answer: ১৯ টি।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায় (১৮৩৮-১৮৯৪)
১। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের রচিত প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম 🙋Answer: ললিতা তথা মানস।
২। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের রচিত প্রথম বাংলা নাম কি? 🙋Answer: দুর্গেশনন্দিনী।
৩। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের উপন্যাসগুলো কি দুর্গেষনন্দীনি, কপালকুণ্ডলা, কৃষ্ণকান্তের ক মৃণালীনি, রাধারানীকে রজনীতে ও যুগলাঙ্গুরীয় , আনন্দ মঠের বিষবৃক্ষের, রাজসিংহ, দেবী চৌধুরানীর চন্দ্রশেখর, শীতারাম,
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়।
এক রজনীতে ইন্দিরা রোডে আনন্দ মঠের সামনে বিষবৃক্ষের নিচে দাড়িয়ে দুর্গেষনন্দীনি ও কপালকুণ্ডলা কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ছিলো। কিন্তু রাজসিংহ তা দেখে দেবী চৌধুরানীর দুই ছেলে চন্দ্রশেখর এবং শীতারাম ও দুই মেয়ে মৃণালীনি ও রাধারানীকে বলে দিলে তারা ঐ যুগলাঙ্গুরীয়কে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো।
৪। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি? 🙋Answer:লোকরহস্য, কমলকান্তের দপ্তর, সমালোচনা, সাম্য, কৃষ্ণচরিত্র ও ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন।
৫। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের ছদ্মনাম কি? 🙋Answer: কমলাকান্ত।
৬। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের সম্পাদিত পত্রিকার নাম কি? 🙋Answer: বঙ্গদর্শন।#
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮২৪-১৮৭৩)
১) মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থের নাম কি? 🙋Answer: Captive Ladie (১৮৪৯)
২) মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত প্রহসনগুলো কি কি? 🙋Answer:একেই কি বলে সভ্যতা ও বুড় সালিকের ঘাড়ে রোঁ।
৩। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত বাংলা নাটকগুলো কি কি? 🙋Answer: শর্মিষ্ঠা, পদ্মাবর্তী ও কৃষ্ণকুমারী।
৪। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি? 🙋Answer: তিলোত্তমাসম্ভার কাব্য, বীরাঙ্গনা কাব্য ও ব্রজাঙ্গনা।
বিবিধ
৫। মাইকেল মধুসূদন দত্তের রচিত অমর মহাকাব্যের নাম কি? 🙋Answer: মেঘনাদবধ কাব্য।
৬। বীরাঙ্গনা কাব্যটি কোন ধরনের কাব্য? 🙋Answer: পত্রকাব্য।
৭। অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক কে? 🙋Answer: মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১১)
১। মীর মশাররফ হোসেন সম্পাদিত পত্রিকা দু’টির নাম কি কি? 🙋Answer: আজীজননেহার ও হিতকারী।
২।মীর মশাররফ হোসেনের প্রথম গ্রন্থ কোনটি? 🙋Answer: রত্নবর্তী
৩। মীর মশাররফ হোসেনের নাটক গুলো কি কি? 🙋Answer: জমীদার দর্পণ,বসন্তকুমারী, বেহুলা গীতাভিনয়, টালা অভিনয়, নিয়তি কি অবনতি, ভাই ভাই এইতো চাই, ফাঁস কাগজ, একি, বাঁধা খাতা ইত্যাদি।
৪। মীর মশাররফ হোসেনের গদ্য ও অন্যান্য গ্রন্থগুলো কি কি? 🙋Answer: রত্নবর্তী, বিষাদসিন্ধু, গোজীবন, উদাসীন পথিকের মনের কথা, তহমিনা, রাজিয়া খাতুন, এসলামের জয়, মৌলুদ শরীফ, পোরাই ব্রিজ, পঞ্চনারী, বিবি খোদেজার বিবাহ মদীনার গৌরব ও মুসলমানের বাংলা শিক্ষা
৫। মীর মশাররফ হোসেনের একমাত্র প্রহসন কি? 🙋Answer: এর কি উপায়?
৬৷ মীর মশাররফ হোসেনের আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের নাম কি ? 🙋Answer: গাজী মিয়াঁর বস্তানী
৭। মীর মশাররফ হোসেনের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কি কি ? 🙋Answer: আমার জীবনী ও কুলসুম জীবনী।
৮। মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম কি ছিলো? 🙋Answer: গাজী মিয়াঁ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১)
৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাম কি? 🙋Answer: কবি কাহিনী। ৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম কি? 🙋Answer: বাল্মীকি প্রতিভা।
৫। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থেউপন্যাসের নাম কি? 🙋Answer: বৌ ঠাকুরাণীর হাট।
৬। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত ছোট গল্পের নাম কি? 🙋Answer: ভিখারিনী।
৭। বাংলা ছোট গল্পের জনক বলা হয় কাকে? 🙋Answer: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে।
৮। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কি? 🙋Answer: ভানুসিংহ ঠাকুর।
৯। গীতাঞ্জলি কাব্য কত সালে প্রকাশিত হয়? 🙋Answer: ১৯১০ সালে।
১০। গীতাঞ্জলি বা Song Offerings এর ভূমিকা লেখেন কে? 🙋Answer: ইংরেজ কবি ডব্লিউ বি ইয়েটস।
১১। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যগ্রন্থগুলো কি কি? 🙋Answer: ভানুসিংহ, গীতাঞ্জলি, প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা সংগীত বিচিত্রা, পূরবী,, পত্রপুট, শ্যামলী, মহুয়া, সোনার তরী, খেয়া, হিন্দুমেলার উপহার, ক্ষণিকা, নবজাতক, নৈবেদ্য, জন্মদিন, রোগশয্যা, আরোগ্য কণিকা, চৈতালি, চিত্রা, মানসী, বনফুল, মায়ার খেলা, ছবি ও গান, বলাকা, সানাই, গীতালি, কল্পনা, কড়ি ও কোমল ও শেষ লেখা।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
ভানুসিংহ গীতাঞ্জলির প্রভাত সংগীত, সন্ধ্যা সংগীত ও বিচিত্রা গাইতে গাইতে পূরবী, পত্রপুট, শ্যামলী ও মহুয়াকে সাথে নিয়ে সোনার তরী খেয়ায় করে হিন্দুমেলার উপহার কিনতে গেল। এদিকে সেদিন ছিলো ভানুসিংহের স্ত্রী ক্ষণিকার নবজাতক নৈবেদ্যর জন্মদিন। ক্ষণিকা রোগশয্যা থেকে আরোগ্য লাভ করার পর তার বোন কণিকা, চৈতালি, চিত্রা ও মানসীদের নিয়ে বনফুলের মিষ্টি খেলো। বাসায় ফেরার আগে তারা বলাকা সিনেমা হলে মায়ার খেলা ছবি ও গান দেখল। ভানু সিংহ তার নবজাতক পুত্রের কথা শুনে
সানাই ও গীতালি বাজাতে বাজাতে কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যায় এবং কড়ি ও কোমল নিয়ে বাসায় ফিরে এসে তার বিখ্যাত শেষ লেখাটি পুত্রকে উৎসর্গ করেন।
১২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসগুলো কি কি? 🙋Answer: শেষের কবিতা, যোগাযোগ, চোখের গোরা, চতুরঙ্গ, ঘরে বাইরে ও চার অধ্যায়।
১৩। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকগুলো কি কি? 🙋Answer: বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা, রক্তকবরী ও তাসের দেশ।
১৪। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতবার ঢাকায় আসেন? 🙋Answer: ২ বার।
বেগম রোকেয়া (১৮৮০-১৯৩২)
১। বেগম রোকেয়ার রচিত উপন্যাসের নাম কি? 🙋Answer: পদ্মরাগ।
২। বেগম রোকেয়ার গ্রন্থ সমূহ কি কি? 🙋Answer: সুলতানার স্বপ্ন, ডিলিসিয়া, অবরোধবাসিনী, পদ্মরাগ ও মতিচূর।
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
সুলতানার স্বপ্ন ছিলো ডিলিসিয়াদের মত অবরোধবাসিনীদের মুক্ত করে তাদের হাতে পদ্মরাগ ও মতিচূর ফুল তুলে দেবেন।
৩। বেগম রোকেয়া মূলত কি হিসেবে পরিচিত? 🙋Answer: মুসলিম নারী জাগরনের অগ্রদূত।
৪। বেগম রোকেয়ার লেখাগুলো কোন কোন পত্রিকায় মোহাম্মাদী। erGuide হত? 🙋Answer: নবনূর, সওগাত
ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ
সুলতানার স্বপ্ন ছিলো ডিলিসিয়াদের মত অবরোধব BDC । মুক্ত করে তাদের হাতে পদ্মরাগ ও মতিচূর ফুল তুলে দেবেন।
শেষ কথা
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা, ধৈর্য সহকারে পুরো পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা উপর পিএসসি কর্তৃক নির্ধারিত 11 জল জন কবি কবি সাহিত্যিক এর জীবনী থেকে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা প্রশ্ন সমূহ এবং চেষ্টা করেছি সঠিক উত্তর দেওয়ার জন্য। কোন প্রশ্নের ভুল আমাদের আমরা পর্ব এর সমাধান দিব। সবার শুভ কামনা করে এখানেই শেষ করছি আমি মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান।
আড় পরুন…
বিপিএসসির ইতিহাস

বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন প্রধানত বিভিন্ন সরকারি চাকুরি ও পদে নিয়োগ দানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সাংবিধানিক সংস্থা। সংস্থাটি সরকারি কর্মচারীদের পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, শৃঙ্খলা ও আপিলের মতো বিষয়ের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গেও জড়িত। ব্রিটিশ শাসনের ঐতিহ্যবাহী অধিকাংশ দেশে ‘সিভিল’ বা ‘পাবলিক’ সার্ভিস কমিশন গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারি চাকুরিতে নিয়োগ প্রদান এবং চাকুরি সংক্রান্ত অন্যান্য বিষয়ে সকল সিদ্ধান্ত যাতে মেধা ও সমদর্শিতার নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয় তা নিশ্চিতকরণ। বাংলাদেশে এই সংস্থা বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বা বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন নামে অভিহিত।
ভারত উপমহাদেশে ১৯২৬ সালে প্রথম পাবলিক সার্ভিস কমিশন নামে একটি কমিশন গঠিত হয় এবং এটি ব্রিটিশ ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন চাকুরিতে নিয়োগ দানের কার্যক্রম পরিচালনা করত। ১৯১৯ সালের ভারত শাসন আইন এবং পরবর্তী ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রদেশে দায়িত্বশীল সরকার গঠিত হওয়ার পর ১৯৩৭ সালে বেঙ্গল পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ প্রদেশ পর্যায়েও অনুরূপ কমিশন গঠিত হয়। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর ব্রিটিশ ভারতের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের আদলে পাকিস্তানের কেন্দ্র ও প্রদেশ উভয় পর্যায়েই অনুরূপ পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠিত হয়। এভাবেই ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে পূর্ববঙ্গে (পরে পূর্ব পাকিস্তান) পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতালাভের পর ১৯৭২ সালে রাষ্ট্রপতির ৩৪ নং আদেশবলে ১৯৭২ সালের মে মাসে প্রাথমিক পর্যায়ে পাবলিক সার্ভিস কমিশন (প্রথম) ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (দ্বিতীয়) নামে দুটি আলাদা কমিশন গঠিত হয়। কিন্তু ১৯৭২ সালের নভেম্বর মাসে গৃহীত সংবিধানে পাবলিক সার্ভিস কমিশন সংক্রান্ত ধারাসমূহ কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার নতুন একটি রাষ্ট্রপতি-আদেশ (রাষ্ট্রপতির আদেশ নং ২৫, ১৯৭৩) জারি করে যা কার্যত ১৯৭২ সালের মে মাস থেকে পাবলিক সার্ভিস কমিশন দুটির আনুষ্ঠানিক নিয়মিতকরণ সম্পন্ন করে। অবশ্য সরকার ১৯৭৭ সালের নভেম্বর মাসে দুটি কমিশনের স্থলে একটি কমিশন স্থাপন করার লক্ষ্যে আরেকটি অধ্যাদেশ জারি করে এবং ১৯৭৭ সালের ২২ ডিসেম্বর এই কমিশনের নামকরণ হয় বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন।
আইনগত ভিত্তির পরিবর্তে বরং সাংবিধানিক ভিত্তিই বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের সংবিধানের পাঁচটি অনুচ্ছেদ সংবলিত একটি অধ্যায়ে (৯ম ভাগের ২য়) কমিশনের গঠনপ্রণালী ও কার্যাবলি নির্দেশিত হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যগণ রাষ্ট্রপতি কর্তৃক (কার্যত প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে) পাঁচ বছর মেয়াদে অথবা তাদের বয়স পঁয়ষট্টি বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হন। নিয়োগযোগ্য সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন সদস্যের সংখ্যা সংবিধানে নির্দিষ্ট করা হয় নি।
তবে ১৯৭৭ সালে জারিকৃত রাষ্ট্রপতির এক অধ্যাদেশে চেয়ারম্যানসহ এ সংখ্যা সর্বোচ্চ পনেরো (ন্যূনতম ছয়) নির্ধারণ করা হয়েছে। সদস্য হিসেবে নিয়োগ লাভের জন্য বিশেষ যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। তবে কমিশনের মোট সদস্যের অন্তত অর্ধেক থাকবেন ন্যূনতম বিশ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সরকারি কর্মকর্তা। সাধারণত সরকারি বিভাগ থেকে নিযুক্ত চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সকলেই শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত হন এবং
অন্যান্যদের অধিকাংশই থাকেন প্রবীণ শিক্ষাবিদ। সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণের পর একজন কর্মকর্তা পুনরায় কোনো সরকারি চাকুরিতে (পাবলিক সার্ভিস কমিশন সহ) নিয়োগ লাভের যোগ্য বিবেচিত হন না। কিন্তু ব্যতিক্রম ঘটে পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে, যিনি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ সত্ত্বেও চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত এক মেয়াদের জন্য এবং একইভাবে কমিশনের একজন সদস্যও অবসর গ্রহণের পর কমিশনের সদস্য বা চেয়ারম্যান হিসেবে অতিরিক্ত এক মেয়াদের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেতে পারেন।