সংবিধানের সংস্কার করতে হবে মান্না, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বর্তমান সংবিধানের আমূল সংস্কার প্রয়োজন।
এই সংবিধানে অনেক বিস্ময়কর জিনিস আছে, কিন্তু ফ্যাসিবাদ তৈরির অনেক সুযোগও রয়েছে। যদি আমি নিশ্চিতভাবে এই সংবিধান পরিবর্তন
করতে না পারি, তবে আমি যে পরিবর্তন চাই তা করতে পারব না।শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজনে ৭০তম গণপরিষদের নির্বাচন (সংস্কার)
সংবিধানের সংস্কার করতে হবে মান্না
কেন করা দরকার? শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ২০১৪ সালের
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে সরকার জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে এবং সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ করেছে। পুরো
নির্বাচনটাই ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। অন্য কোনো ব্যবসায় এত লাভ করা যায় না। যেখানে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সময় একজন এমপিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, সেখানে জাতীয় নির্বাচনের সময় পুরো সরকারকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে?
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ
সাকি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া অযৌক্তিক ও হাস্যকর। আওয়ামী লীগ দুইবার একতরফাভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এবার সে পারবে না। বিদেশিরা চাপে আছে।
এখন এমন অবস্থা যে সংবিধানে ক্ষমতা কাঠামো পরিবর্তন ছাড়া এই সংকটের কোনো সমাধান নেই। এটি একটি কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী শক্তি কাঠামোরাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমি মনে করি গণপরিষদের নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 1972 সালের সংবিধানে ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর
হাতে কেন্দ্রীভূত ছিল, বিকেন্দ্রীকরণ হয়নি।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা মানে জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা, বিকেন্দ্রীকরণ। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের গণমাধ্যম ও প্রচার সমন্বয়ক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নাঈম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সিলেট, সুনামগঞ্জ, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ যমুনার পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি
পাওয়ায় তীব্র নদী ভাঙনে গ্রামের পর গ্রাম নদীগর্ভে ডুবে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম, বাড়ি-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন এবং ফসলি জমি ডুবে গেছে।
সংবিধানের সংস্কার করতে হবে মান্না
বন্যা ও নদী ভাঙনে উপদ্রুত মানুষের প্রতি আমি গভীর সহমর্মিতা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বন্যা কবলিত মানুষের সাহায্যে সরকারের
তৎপরতা পর্যাপ্ত নয়। জনগণের প্রতি এই গণবিরোধী সরকারের কোনো দায়িত্ববোধ নেই বলে তারা অসহায় মানুষের সাহায্যে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে না।