প্রকৃতি-প্রত্যয় | বাংলা ব্যাকরণ | বাংলা জব প্রিপারেশন

প্রকৃতি-প্রত্যয় | বাংলা ব্যাকরণ | বাংলা জব প্রিপারেশন

প্রকৃতি-প্রত্যয় | বাংলা ব্যাকরণ | বাংলা জব প্রিপারেশনঃ প্রিয় পাঠক আশা করি ভালো আছেন। আজকে আমরা প্রকৃতি-প্রত্যয় | বাংলা ব্যাকরণ | বাংলা জব প্রিপারেশন নিয়ে কিছু লেখার চেস্টা করবো। আশা আজকের পোস্টটি চাকুরী পার্থীদের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। আপনি যদি চাকরি প্রার্থী হন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্যই। চলো তাহলে শুরু করা যাক।

প্রকৃতি-প্রত্যয়ঃ

ব্যাকরণ শাস্ত্রে, এক বা একাধিক ধ্বনি দিয়ে তৈরি শব্দকে প্রকৃতি বলে। প্রত্যয় হলো এই প্রকৃতির পর যুক্ত হওয়া কিছু অর্থহীন শব্দাংশ, যা নতুন শব্দ তৈরি করে। মূলত প্রকৃতির সঙ্গে যুক্ত অর্থহীন শব্দাংশই প্রকৃতি-প্রত্যয়। প্রত্যয় ক্রিয়ামূল ও শব্দের সাথে যুক্ত হয়।

প্রত্যয়ের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই। তবে প্রত্যয় যুক্ত হওয়ার পরে অনেক সময়ে শব্দের অর্থ ও শ্রেণিপরিচয় বদলে যায়।

প্রকৃতি প্রত্যয় প্রকারভেদ

প্রত্যয় দুই প্রকার:
১.তদ্ধিত প্রত্যয়,
২.কৃৎ প্রত্যয়।

শব্দের পরে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেগুলোকে তদ্ধিত প্রত্যয় বলে। তদ্ধিত প্রত্যয় দিয়ে সাধিত শব্দকে বলে তদ্ধিতান্ত শব্দ। উদাহরণ: পঠ+অক=পাঠক, দিন+ইক = দৈনিক। এখানে, ‘অক’ ও ইক’ তদ্ধিত প্রত্যয় এবং ‘পাঠক’ ও ‘দৈনিক’ হলো তদ্ধিতান্ত শব্দ।
ক্রিয়ামূল বা ধাতুর পরে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেগুলোকে কৃৎ প্রত্যয় বলে। কৃৎ প্রত্যয় দিয়ে সাধিত শব্দকে বলে কৃদান্ত শব্দ। উদাহরণ: দুল্‌+অনা = দোলনা, কৃ+তব্য = কর্তব্য। এখানে, ‘অনা’ ও ‘তব্য’ হলো কৃৎ প্রত্যয় এবং ‘দোলনা’ ও ‘কর্তব্য’ হলো কৃদন্ত শব্দ।

  • কৃৎ প্রত্যয় বা ধাতু প্রত্যয় ধাতুর সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে ধাতু প্রত্যয় বা কৃৎ প্রত্যয় বলে।
  • তদ্ধিত প্রত্যয় বা শব্দ প্রত্যয় শব্দের সঙ্গে যে প্রত্যয় যুক্ত হয় তাকে শব্দ প্রত্যয় বলে।

কৃৎ প্রত্যয়/ সংস্কৃত প্রত্যয়ঃ

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয় ক্ত, ক্তি, শানচ, তৃচ, ইষ্ণু ইত্যাদি।
বাংলা কৃৎ প্রত্যয় অ, আ, অন, অতা, অন্ত ইত্যাদি।

সংস্কৃত কৃৎ প্রত্যয়
১) ক্ত (উচ্চারণ ত)- গম্+ ক্ত = গত, স্না + ক্ত = স্নাত, কৃ+ ক্ত = কৃত, গুপ্+ ক্ত = গুপ্ত ইত্যাদি।

২) ক্তি ( উচ্চারণ তি)- গম্ + ক্তি = গতি; স্মৃ+ক্তি = স্মৃতি, দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি, শম্ + ক্তি = শান্তি, কৃ + ক্তি = কৃতি, শ্রম্ + ক্তি = শ্রান্তি, মুচ্‌ + ক্তি = মুক্তি ইত্যাদি।

৩) শানচ্ (উচ্চারণ আন, মান)- বৃৎ + শানচ = বর্তমান, মূহ্ + শানচ = মূহ্যমান, বিদ্ + শানচ = বিদ্যমান।

৪) তৃচ্ (উচ্চারণ তা)- ধা + তৃচ = ধাতা (পুং), ধাত্রী (স্ত্রী), দা + তৃচ = দাতা, নী + তৃচ = নেতা, কৃ + তৃচ = কর্তা ইত্যাদি।

৫) ইষ্ণু (উচ্চারণ ইষ্ণু)- বৃধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু, সহ্ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু, চল্ + ইষ্ণু = চলিষ্ণু ইত্যাদি।

৬) অনট্ (উচ্চারণ অন)- গম্ + অনট্ = গমন, নী + অনট্ = নয়ন, দৃশ + অনট্ = দর্শন, স্মৃ + অনট্ = স্মরণ, চল্ + অনট্ = চলন ইত্যাদি।

৭) তব্য (উচ্চারণ তব্য)- গম্ + তব্য = গন্তব্য, বচ্ + তব্য = বক্তব্য, দা + তব্য = দাতব্য, স্মৃ + ত = স্মর্তব্য, ধৃ+তব্য = ধর্তব্য, জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য ইত্যাদি।

৮) অনীয় (উচ্চারণ অনীয়)- কৃ + অনীয় = করণীয়, পূজ্ + অনীয় = পূজনীয়, দৃশ + অনীয় = দর্শনীয়, পা + অনীয় = পানীয়, শুচ্ + অনীয় = শােচনীয় ইত্যাদি।

৯) যৎ, ণ‍্যৎ, ক্যপ্ (য প্রত্যয় নামে পরিচিত)- পা + যৎ = পেয়, লভ্ + যৎ= লভ্য, রম + যৎ = রম্য, সহ + যৎ = সহ্য, শস্ + যৎ = শস্য, কৃ + ণ‍্যৎ = কার্য, ত্যজ্ + ণ‍্যৎ = ত্যাজ্য, হস্ + ণ‍্যৎ = হাস্য, ভিদ্ + ণ‍্যৎ = ভেদ্য, কৃ + ক্যপ্ = কৃত্য, দৃশ + ক্যপ্ = দৃশ্য, ভৃ+ ক্যপ্ = ভৃত্য ইত্যাদি।

১০) সন্ (ইচ্ছা অর্থে)- পা + সন্ + অ+ আ = পিপাসা, জ্ঞা + সন্ + অ+ আ = জিজ্ঞাসা, শ্রু + সন্ + অ + আ = শ্রুশ্রূষা ইত্যাদি।

১১) ণক্ (উচ্চারণ অক)- নী + অক (ণক) = নায়ক, পঠ্ + অক = পাঠক, গৈ + অক = গায়ক, কৃ+ অক = কারক, হন্ + অক = ঘাতক, জন্ + অক =জনক ইত্যাদি।

বাংলা কৃৎ প্রত্যয়
১) অ– হার্ + অ = হার, ছুট্+ অ = ছুট, চল্ + অ = চল, ডাক্ + অ = ডাক, বাড়্ + অ= বাড়, খুঁজ্ +অ = খোঁজ ইত্যাদি।

২) আ– দেখ্+ আ= দেখা, চল্+ আ= চলা, খা+আ = খাওয়া, পা+ আ = পাওয়া, জান্ + আ= জানা ইত্যাদি।

৩) অন, অনা, না– গড় + অন= গড়ন, কাঁদ্ + অন= কাঁদন, নাচ্+ অন= নাচন, বাড়্+অন= বাড়ন, বাজ্ + অনা= বাজনা, রাঁধ্+ অনা= রাঁধনা/ রান্না, পা+ অনা= পাওনা, কাঁদ্ + অনা= কাঁদনা/ কান্না, খেল+ না= খেলনা, বাট+না= বাটনা, ধর+ না= ধরনা ইত্যাদি।

৪) অত, অতা, অতি (তি)– মান্ + অত= মানত, বস্ + অত= বসত, বহ + অতা = বহতা, বস্ + অতি = বসতি, ফির্ + অত = ফিরত, ফেরত, জান্+ তা= জান্তা, পড়্ + তা = পড়তা, বাড়্ + অতি = বাড়তি, উঠ্ + তি= উঠতি; কাট্ + তি = কাটতি ইত্যাদি।

৫) অন্ত– বাড়্ + অন্ত = বাড়ন্ত, উড়্+অন্ত= উড়ন্ত, পড়্+ পড়ন্ত, চল্ + অন্ত = চলন্ত, ফল্ + অ = ফলন্ত, ঘুম্+ অন্ত= ঘুমন্ত, ডুব্+ অন্ত ইত্যাদি।

৬) আই/ আও– বাছ্ + আই = বাছাই, লড়্ + আই = লড়াই, ঝাল্ + আই= ঝালাই, ঘির্ + আও = ঘেরাও, ফল্ + আও = ফলাও, চড়্ + আও = চড়াও ইত্যাদি।

৭) আন– মানা+ আন= মানান, চাল + আন = চালান, জানা+ আন = জানান ইত্যাদি।

৮) আনাে– চাল + আনো = চালানাে, জানা + আনাে = জানানো, হাতা + আনাে = হাতানাে, পড়্ + আনো = পড়ানো ইত্যাদি।

৯) অনি (উনি)– চাল + অনি (উনি)= চালনি (চালুনি), নাচ + অনি (উনি) = নাচনি (নাচুনি), কাঁপ + অনি (উনি) = কাঁপনি (কাঁপুনি), ছাঁক + অনি (উনি) = ছাঁকনি (ছাঁকুনি), রাঁধ+ অনি (উনি) = রাঁধনি (রাঁধুনি), খাট্ + অনি (উনি) = খাটনি (খাটুনি) ইত্যাদি।

১০) ইয়ে– বাজ্+ ইয়ে= বাজিয়ে, নাচ্ + ইয়ে নাচিয়ে, লিখ্ + ইয়ে = লিখিয়ে, গা + ইয়ে = গাইয়ে ইত্যাদি।

১০) উক– মিশ্ + উক = মিশুক, নিন্দ্ + উক = নিন্দুক, ভূ + উক = ভাবুক ইত্যাদি।

১১) আরি/উরি– পুজ্+ আরি= পুজারি, দিশ্+ আরি= দিশারি, ডুব্+ উরি= ডুবুরি ইত্যাদি।

১২) ক– মুড়্ + ক= মোড়ক, চড়্+ ক= চড়ক ইত্যাদি।

১৩) উয়া– পড়্ + উয়া= পড়ুয়া, উড়্ + উয়া= উড়ুয়া (উড়ো) ইত্যাদি।

তদ্ধিত প্রত্যয়
সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয় ষ্ণ, ষ্ণি, ষ্ণীয়, ষ্ণিক, ময়ট ইত্যাদি।
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয় ইয়া, উয়া, টিয়া, পনা, পারা ইত্যাদি।
বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয় আনা, আনি, গর, গিরি, নবিশ, বাজ ইত্যাদি।
সংস্কৃত তদ্ধিত প্রত্যয়
১) ষ্ণ(অ)- যদু + ষ্ণ = যাদব, মনু + ষ্ণ = মানব, সুমিত্রা + ষ্ণ= সৌমিত্র, কুরু+ ষ্ণ= কৌরব, গুরু + ষ্ণ = গৌরব, কুশল + ষ্ণ = কৌশল, শিশু +ষ্ণ = শৈশব, লঘু + ষ্ণ = লাঘব, মগধ + অ = মাগধ, শিশু + ষ্ণ = শৈশব, পাণ্ডু + ষ্ণ = পাণ্ডব ইত্যাদি।

২)ষ্ণি (ই)- রাবণ + ষ্ণি = রাবণি, দশরথ + ষ্ণি = দাশরথি, অরুণ + ষ্ণি = আরুণি ইত্যাদি।

৩)ষ্ণ্য (য)- দিতি + ষ্ণ্য = দৈত্য, বিচিত্র + ষ্ণ্য = বৈচিত্র্য, দরিদ্র + ষ্ণ্য = দারিদ্র, বৎসল + ষ্ণ্য = বাৎসল্য, পণ্ডিত + ষ্ণ্য = পাণ্ডিত্য, পুরোহিত + ষ্ণ্য = পৌরোহিত্য, গ্রাম+ ষ্ণ্য= গ্রাম্য, লবণ + ষ্ণ্য= লাবণ্য, প্রধান + ষ্ণ্য = প্রাধান্য, স্বতন্ত্র + ষ্ণ্য = স্বাতন্ত্র্য ইত্যাদি।

৪)ষ্ণেয় (এয়)- গঙ্গা + ষ্ণেয়= গাঙ্গেয়, রাধা + ষ্ণেয়= রাধেয়, ভগিনী + ষ্ণেয় = ভাগিনেয়, বিমাতা+ ষ্ণেয়= বৈমাত্রেয়, অগ্নি+ ষ্ণেয়= আগ্নেয়, পুরুষ+ ষ্ণেয় = পৌরুষেয়; পথ+ ষ্ণেয় = পাথেয় ইত্যাদি।

৫)ষ্ণায়ন (আয়ন)- দক্ষ + ষ্ণায়ন= দাক্ষায়ণ, নর + ষ্ণায়ন = নারায়ণ, বৎস + ষ্ণায়ন = বাৎসায়ন, দ্বীপ + ষ্ণায়ন = দ্বৈপায়ন, রাম + ষ্ণায়ন = রামায়ণ ইত্যাদি।

৬)ষ্ণিক (ইক)- বেদ+ ষ্ণিক= বৈদিক, দেহ+ ষ্ণিক= দৈহিক, লোক+ ষ্ণিক= লৌকিক, আধ্যাত্ম+ ষ্ণিক= আধ্যাত্মিক ইত্যাদি।

৭)ষ্ণীয় (ঈয়)-দেশ +ষ্ণীয় = দেশীয়, রাষ্ট্র+ ষ্ণীয়= রাষ্ট্রীয়, বঙ্গ+ ষ্ণীয়= বঙ্গীয়, নাটক+ ষ্ণীয়= নাটকীয়, ভারত+ ষ্ণীয়= ভারতীয়, ধর্ম+ ষ্ণীয়= ধর্মীয় ইত্যাদি।

৮)ময়ট(ময়)- মুৎ + ময়ট = মৃন্ময়, চিৎ+ ময়ট = চিন্ময়, হিরণ্য + ময়ট = হিরন্ময়, স্বর্ণ + ময়ট = স্বর্ণময়, ধূলি+ ময়ট= ধূলিময় ইত্যাদি।

৯)ইতচ (ইত)- পুষ্প + ইতচ = পুষ্পিত, ক্ষুধা + ইতচ = ক্ষুধিত, ত্বরা + ইতচ = ত্বরিত, ফল + ইতচ = ফলিত, কণ্টক+ ইতচ= কণ্টকিত, মুকুল+ ইতচ= মুকুলিত, কুসুম+ ইতচ= কুসুমিত, ইত্যাদি।

১০)ইন– কুল+ঈন =কুলীন, কাল + ঈন=কালীন, গ্রাম+ ঈন= গ্রামীণ ইত্যাদি।

১১)ইমন (ইমা)-মহৎ + ইমা = মহিমা, নীল + ইমা = নীলিমা, লঘু+ ইমন= লঘিমা, চন্দ্র + ইমন = চন্দ্রিমা, শ্যামল + ইমন = শ্যামলিমা, গুরু+ ইমন = গরিমা, তনু+ইমন = তনিমা, ইত্যাদি।

১২) র, ল,শ– পাণ্ডু + র = পাণ্ডুর, মধু+ র= মধুর, শীত + ল = শীতল, শ্যাম + ল = শ্যামল, মৃদু + ল = মৃদুল, বহু + ল = বহুল, কুশ + ল = কুশল, মাংস+ ল= মাংসল, লোম+ শ= লোমশ ইত্যাদি।

বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
১) আ– তেল+ আ= তেলা, জল+ আ= জলা, পাগল+ আ= পাগলা, বাদল+ আ= বাদলা ইত্যাদি।

২) আই– মোগল+ আই= মোগলাই, বড়+ আই= বড়াই, চোর+ আই= চোরাই ইত্যাদি।

৩) আমি (মি), আমো (মো)– ন্যাকা + আমি(আমো) = ন্যাকামি (ন্যাকামো), পাকা + আমি (আমো) = পাকামি (পাকামো), গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি, গুণ্ডা+ আমি = গুণ্ডামি, বাঁদর+ আমো =বাঁদরামো, পাকা+ আমো = পাকামো, বোকা+ মো= বোকামো ইত্যাদি।

৪) আর, আরি (আরী)– ভাড় + আর = ভাড়ার, মাঝ + আর = মাঝার, রকম + আরি = রকমারি, শাঁখা+ আরি= শাঁখারি, মাঝ + আরি = মাঝারি (আরী-মাঝারী), পূজা + আরি = পূজারি, জুয়া + আরী = জুয়ারী ইত্যাদি।

৫) ই/ ঈ– শয়তান + ই = শয়তানি; চালাক + ই= চালাকি, বাহাদুর + ই = বাহাদুরি, বেয়াদব + ই = বেয়াদবি, ডাক্তার + ই = ডাক্তারি, পাহাড়+ ই= পাহাড়ি, মাস্টার + ই = মাস্টারি, চাষ + ঈ = চাষী, তেল + ঈ = তেলী, মহাজন + ঈ = মহাজনী, দাম + ঈ = দামী ইত্যাদি।

৬) ইয়া (এ)– কীর্তন+ ইয়া> কীর্তনিয়া, জাল+ ইয়া = জালিয়া (>জেলে), চাটগাঁ + ইয়া = চাটগাঁইয়া, পাহাড় + ইয়া = পাহাডিয়া , শহর + ইয়া = শাহরিয়া ইত্যাদি।

৭) উয়া (ও)– মাছ + উয়া= মাছুয়া, ধান + উয়া = ধানুয়া , কাঠ + উয়া = কাঠুয়া , ভাত + উয়া = ভাতুয়া ইত্যাদি।

৮) উক – পেট + উক = পেটুক, নিন্দা + উক = নিন্দুক, মিথ্যা + উক = মিথুক, লাজ + উক = লাজুক ইত্যাদি।

৯) টিয়া (টে)- ঝগড়া + টিয়া = ঝগড়াটিয়া (ঝগড়াটে), তামা + টিয়া =তামাটিয়া (তামাটে), ভাড়া + টিয়া= ভাড়াটিয়া (ভাড়াটে), ধোঁয়া+টে= ধোঁয়াটে ইত্যাদি।

১০) পানা, পারা– চাঁদ+ পানা= চাঁদপানা, হাঁড়ি+পানা= হাঁড়িপানা, পাগল + পারা = পাগলপারা ইত্যাদি।

১১) পনা-গিন্নী + পনা = গিন্নীপনা, দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা ইত্যাদি।

বিদেশি তদ্ধিত প্রত্যয়
১) আনা– বাঙালি+ আনা= বাঙালিয়ানা, বিবি+ আনা = বিবিয়ানা, বাবু + আনা = বাবুয়ানা, মুনশি + আনা = মুনশিয়ানা, নবাবি + আনা = নবাবিয়ানা, হিন্দু + আনা = হিন্দুয়ানা ইত্যাদি।

২) ওয়ান– দর+ ওয়ান = দরওয়ান > দারােয়ান, গাড়ি + ওয়ান = গাড়ােয়ান, কোচ+ওয়ান = কোচোয়ান।

৩) খাের– গাঁজা + খাের = গাঁজাখোর, আফিং + খাের = আফিংখাের, ঘুষ+ খাের= ঘুষখোর, নেশা+খাের= নেশাখোর ইত্যাদি।

৪) গর– জাদু + গর = জাদুগর, বাজি + গর = বাজিগর, কারি + গর = কারিগর ইত্যাদি।

৫) চি– তবল + চি = তবলচি, মশাল + চি = মশালচি, ধুনা + চি = ধুনুচি ইত্যাদি।

৬) দান/ দানি– ধূপ + দান = ধূপদান, কলম + দান = কলমদান, কলম + দানি = কলমদানি, ফুল + দানি = ফুলদানি ইত্যাদি।

৭) দার– ঝাড়ু + দার = ঝাড়ুদার, দোকান + দার = দোকানদার, জমি + দার = জমিদার, চৌকি + দার = চৌকিদার, ফৌজ + দার = ফৌজদার ইত্যাদি।

৮) গিরি– গুরু + গিরি = গুরুগিরি, কেরানি + গিরি = কেরানিগিরি, গোয়েন্দা + গিরি = গোয়েন্দাগিরি, দালাল + গিরি = দালালগিরি, নেতা+ গিরি= নেতাগিরি ইত্যাদি।

৯) নবিশ– হিসাব + নবিশ = হিসাবনবিশ, শিক্ষা + নবিশ = শিক্ষানবিশ, নকল+ নবিশ = নকলনবিশ, পত্ৰ+ নবিশ= পত্রনবিশ ইত্যাদি।

১০) বাজ– চাল + জ = চালবাজ, ঢপ + বাজ = ঢপবাজ, ফাঁকি + বাজ = ফাঁকিবাজ, ফন্দি + বাজ = ফন্দিবাজ, ফুর্তি+ বাজ= ফুর্তিবাজ, দাঙ্গা+ বাজ= দাঙ্গাবাজ ইত্যাদি।

১১) সহি (সই)– মানান+সহি (সই) = মানানসহি (মানানসই), পছন্দ+ সই= পছন্দসই, যুত+ সই= যুতসই ইত্যাদি।

১২) খানা– ডাক্তার+ খানা= ডাক্তারখানা, বৈঠক+ খানা= বৈঠকখানা, দাবা (ওষুধ)+ খানা= দাবাখানা, চিড়িয়া+ খানা= চিড়িয়াখানা, কসাই+ খানা= কসাইখানা, ছাপা+ খানা= ছাপাখানা।

বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়
১. অ-প্রত্যয় : ‘প্রবণতা, ঈষদ্ভাব প্রায় কিন্তু পূর্ণ নয়’ এমন ভাব প্রকাশ করতে ধাতুর উত্তর (পরে) অ (উ, ও) প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং দ্বিত্ব প্রয়োগ হয়। যেমন:
√কাঁদ + অ : কাঁদ + অ = কাঁদ কাঁদ
√ডুব + অ : ডুব + অ = ডুব ডুব (ডুবু ডুবু)
√পড় + অ : পড় + অ = পড় পড় (পড়ো পড়ো)
√মার + অ : মার + অ = মার মার
২. আ-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর পরে আ-প্রত্যয় হয়। যেমন:
√ঝর + আ = ঝরা
√হাস + আ = হাসা
√খা + আ = খাওয়া
√শোন + আ = শোনা
√ভর + আ = ভরা
√কাঁচ + আ = কাঁচা
√কাট + আ = কাটা
√র্ম + আ = মরা
√ছাড় + আ = ছাড়া
√জান + আ = জানা
৩. অন-প্রত্যয় : অন-প্রত্যয়ান্ত শব্দগুলো সাধারণ ক্রিয়াবাচক বিশেষ্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
√বাঁধ + অন = বাঁধন
√সাজ্ + অন = সাজন
√হাঁট + অন = হাঁটন
√র্ম + অন = মরণ
√নাচ + অন = নাচন
√মাজ + অন = মাজন
√গড় + অন = গড়ন
√জীব + অন = জীবন
√কাঁদ + অন = কাঁদন
৪. অক-প্রত্যয় : অক-প্রতায়ান্ত শব্দ সাধারণত বিশেষ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
√ফাট্ + অক =ফাটক
√সড় + অক = সড়ক
√নাট + অক = নাটক
√ঝল + অক = ঝলক
√দুল + অক = দোলক
√ঘট্ + অক = ঘটক
√বৈঠ + অক = বৈঠক
√চট্ + অক = চটক
৫. আই-প্রত্যয় : করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আই’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√ফাড়্ + আই = ফাড়াই
√ছাঁট্ + আই = ছাঁটাই
√যাচ্ + আই = যাচাই
√খোদ + আই = খোদাই
√ঢাল্ + আই = ঢালাই
√মাড়্ + আই = মাড়াই
√সিল্ + আই = সেলাই
√লড়্ + আই = লড়াই
৬. উয়া-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য ধাতুর উত্তর ‘উয়া’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। উয়া-প্রত্যয় বিকল্পে ও-প্রত্যয় হয়। যেমন:
√পড়্ + উয়া = পড়-য়া
√চল + উয়া = চলুয়া
√হাল্ + উয়া = হালুয়া
√সাজ + উয়া = সাজুয়া
√খা + উয়া = খাওয়া
√ঝড় + উয়া = ঝড়োয়া˃ঝড়ো
৭. উ-প্রত্যয় : ‘উ’ প্রত্যয়ান্ত সাধিত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:
√ঢাল্ + উ = ঢালু
√ডাক + উ = ডাকু
√ঝাড় + উ = ঝাড়-
√চাল্ + উ = চালু
√উড় + উ = উড়-
√ডুব + উ = ডুবু
৮. উক-প্রত্যয়ঃ স্বভাব বুঝাতে বিশ্লেষণ পদ গঠনে ‘উক’ প্রত্যয় হয়। যেমন:
√পিট + উক = পেটুক
√মিশ + উক = মিশুক
√খা + উক = খাউক
√হিনস + উক = হিংসুক
√নিন্দা + উক = নিন্দুক
√ভা + উক = ভাবুক
৯. ই-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য, অপাদানবাচ্য, অধিকরণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘ই’ প্রত্যয় হয়। যেমন:
√ঝর + ই = ঝরি
√হাস + ই = হাসি
√কর + ই = করি
√বুল + ই = বুলি
√বেড় + ই = বেড়ি
√হাঁচ + ই = হাঁচি
√খা + ই = খাই
√ভাজ + ই = ভাজি
১০. ইয়া ইয়ে-প্রত্যয় : ‘প্রবীণ বা নিপুণ অর্থে’ কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ইয়া ইয়ে প্রত্যয় হয়। যেমন:
√কাঁদন + ইয়া = কাঁদনিয়া˃কাঁদুনে
√বাজ্ + ইয়ে = বাজিয়ে
√কহ্ + ইয়া = কহহিয়া˃কইয়ে
√খেল + ইয়ে = খেলিয়ে
√গাহ্ + ইয়া = গাহহিয়া˃গাইয়ে
√নাচ + ইয়ে = নাচিয়ে
আবার অসমাপিকা ক্রিয়া বুঝাতেও ‘ইয়া’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
√পড়্ + ইয়া = পড়িয়া
√বহ্ + ইয়া = বহিয়া
√চল + ইয়া = চলিয়া
√কাঁদ্ + ইয়া = কাঁদিয়া
√হাস + ইয়া = হাসিয়া
√শুন + ইয়া = শুনিয়া
১১. আল-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, কর্মবাচ্য ও করণবাচ্যের ধাতুর উত্তর আল-প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√রাখ্ + আল = রাখাল
√মাত্ + আল = মাতাল
√বাচ্ + আল = বাচাল
√ধার + আল = ধারাল
√নাগ্ + আল = নাগাল
√মিশ্ + আল = মিশাল
১২. তি-প্রত্যয়ঃ কর্তৃবাচ্য ও ভাববাছ্যের উত্তর ‘তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√কম্ + তি = কমতি
√চল্ + তি = চলতি
√র্ফি + তি = ফিরতি
√উঠ্ + তি = উঠতি
√ঘাট্ + তি = ঘাটতি
√বস্ + তি = বসতি
১৩. না-প্রত্যয় : কর্মবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘না’ প্রত্যয় যুক্ত হয়্। যেমন:
√শুক + না = শুকনা
√বাট + না = বাটনা
√দুল + না = দোলনা
√ঝর + না = ঝরনা
√রাঁধ + না = রাঁধনা˃রান্না
√ঢাক + না = ঢাকনা
√খেল + না = খেলনা
√মাগ + না = মাগনা
১৪. আনি-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্য, করণবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আনি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√রাঙ + আনি = রাঙানি
√খাট + আনি = খাটানি˃খাটুনি
√শাস + আনি = শাসানি
√চির + আনি = চিরণী˃চিরুণী
√শুন + আনি = শুনানি
√জ্বাল + আনি = জ্বালানি
√উড় + আনি = উড়ানি
√হাঁপ + আনি = হাঁপানি
১৫. আরু-প্রত্যয় : কর্তায় দক্ষতা ও পেশা বুঝাতে কর্তৃবাচ্যের ধাতু উত্তর ‘আরু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√ডুব + আরু = ডুবারু
√সাঁত + আরু = সাঁতারু
√খোঁজ + আরু = খোঁজারু
১৬. আও-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আও’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√বাঁচ্ + আও = বাঁচাও
√দুল্ + আও = দোলাও˃দুলাও
√চড়্ + আও = চড়াও
√র্ঘি + আও = ঘিরাও
√র্স + আও = সরাও
√পাকড়্ + আও = পাকড়াও
১৭. আনো-প্রত্যয় : ধাতুর উত্তর ‘আনো’ প্রত্যয় যোগে ক্রিয়াবাচক বা বিশ্লেষন পদ গঠিত হয়। যেমন:
√কামড় + আনো = কামড়ানো
√নাচ + আনো = নাচানো
√বাঁধ + আনো = বাঁধানো
√পাল + আনো = পালানো
√কাঁদ + আনো = কাঁদানো
√দৌড় + আনো = দৌড়ানো
১৮. অল-প্রত্যয় : ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অল’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√পিছ্ + অল = পিছল
√ফাট + অল = ফাটল
√জী + অল = জীয়ল˃জীওল
১৯. আইত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘আইত’ (আত) প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√ডাক + আইত = ডাকাইত˃ডাকাত
√সঙ্গ + আইত = সাঙ্গাইত˃সাঙ্গাত
√সেব + আইত = সেবাইত
২০. আন-প্রত্যয় : প্রযোজক ধাতু ও কর্মবাচ্যের ধাতুর পরে ‘আন’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√ছোড় + আন = ছোড়ান
√দেখ + আন = দেখান
√গড় + আন = গড়ান
√খা + আন = খাওয়ান
√ঠকা + আন = ঠকান
√জান + আন = জানান
২১. অন্ত-প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘অন্ত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√চল + অন্ত = চলন্ত
√ডুব্ + অন্ত = ডুবন্ত
√ঝুল + অন্ত = ঝুলন্ত
√ঘুম + অন্ত = ঘুমন্ত
√ফুট্ + অন্ত = ফুটন্ত
√ফল + অন্ত = ফলন্ত
২২. তা-প্রত্যয় : বিশেষণ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘তা’ প্রত্যয় যুক্ত ঞয়। যেমন:
√পড় + তা = পড়তা
√চল্ + তা = চলতা
√জান্ + তা = জান্তা
√ফির + তা = ফিরতা
২৩. অনা- প্রত্যয় : বিশেষ্য পদ গঠনে সাধারণত ধাতুর উত্তর ‘অনা’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√বাজ + অনা = বাজনা
√মাগ্ + অনা = মাগনা
√ঝর + অনা = ঝরনা
√খেল্ + অনা = খেলনা
√বঞ্চ + অনা = বঞ্চনা
√দুল্ + অনা = দোলনা
২৪. অত-প্রত্যয় : বিশেষণ পদ গঠনে ধাতুর উত্তর ‘অত’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√বস্ + অত = বসত
√ফির + অত = ফেরত
√মান + অত = মানত
বিদেশী কৃৎ-প্রত্যয় :
ক. সই-প্রত্যয় যোগে; যেমন: মাপ + সই = √মাপসই।
খ. বাজ-প্রত্যয় যোগে; যেমন: চাল + বাজ = √চালবাজ
■ বাংলা কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ
প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দপ্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দকাঁদ্ + অ = কাঁদডুব + আরু = ডুবারুগুণ্ + তি = গুণতিসাজ্ + উয়া = সাজোয়াডুব্ + অ = ডুবপড়্ + উয়া = পড়-য়ানাচ্ + অন = নাচনগাহ্ + ইয়ে = গাইয়েঝুল + অ = ঝুলজুত্ + আনো = জুতানোকাঁদ + অন = কাঁদনখেল্ + ওয়াড় = খেলোয়ারনিব্ + অ = নিবভাব্ + উক = ভাবুকখা + অন = খাওনর্ধ + আ = ধরার্ম + অ = মরবেড়্ + আনো = বেড়ানোঝাড়্ + অন = ঝড়ানপড়্ + আ = পড়াছুট + অ = ছুটঢাল্ + আই = ঢালাইকাঁপ + অন = কাঁপনঢাল্ + উ = ঢালুখুঁজ + অন = খোঁজনযাচ্ + আই = যাচাইর্ম + অন = মরণবাঁধ্ + অন = বাঁধনচল্ + আ = চলাসেব্ + আইত = সেবাইতফল্ + অন = ফলনগড়্ + অন = গড়নচাহ্ + আ = চাওয়াপূজ্ + আরী = পূজারীযোগ্ + অন = যোগানচাহ্ + নি = চাহনিপা + আ = পাওয়াকাঁদ্ + উনে = কাঁদুনেচড়্ + অক = চড়কউড়্ + অন্ত = উড়ন্তদেখ্ + আ = দেখানাচ্ + ইয়ে = নাচিয়েফাট্ + অক = ফাটকভাঙ্ + অন = ভাঙনছাড়্ + আ = ছাড়ামিশ্ + উক = মিশুকমুড়্ + অক = মোড়কডুব্ + উরী = ডুবুরীফুট্ + আ = ফোটাঘাট্ + তি = ঘাটতিঝল্ + অক = ঝলকমুচ্ + কি = মুচকিচুর + ই = চুরিকুট + না = কুটনাদে + অনা = দেনাচাল + আন = চারাচষ + ই = চষিজান + আন = জানানবাজ্ + অনা =বাজনাউঠ্ + তি = উঠতিফির + ই = ফিরিকাঁদ্ + না = কান্নাপা + অনা = পাওনাদোল্ + না = দোলনাহাস্ + ই = হাসিউড়া + আন = উড়ানবাট্ + না = বাটনাঝলক + আনি = ঝলকানিকাশ্ + ই = কাশিঠকা + আন = ঠকানখেল্ + না = খেলনাহিনস্ + উক = হিংসুকভাজ্ + ই = ভাজিকাট্ + আ = কাটার্ঝ + ন = ঝরনাকাচ + আ = কাচাডুব্ + উ = ডুবুবাঁধ + আ = বাধাঁকাঁপ্ + অনি = কাঁপনি, কাঁপুনিভর + আ = ভরার্উ + ও = উড়োবাঁচ + ওয়া = বাঁচোয়ারাঁধ্ + অনি = রাঁধুনিহাত + আনো = হাতানোহ + উ = হবুকাট্ + আরি = কাটারিছাঁক্ + অনি = ছাকনিখুল্ + আ = খোলার্ম + ও = মরোমাজ্ + অন = মাজনচাল্ + উনি = চালুনির্ম + ও = মরোঝড়্ + ও = ঝড়োটাঙা + আনো = টাঙানোছা + উনি = ছাউনিবাজ্ + ইয়ে = বাজিলেভুল্ + ও = ভুলোচল্ + তি = চলতিঝাঁক্ + উনি = ঝাঁকুনিবাস্ + ই = বাসির্ফি + অত = ফিরতঝুল + অন = ঝুলনআট্ + উনি = আঁটুনিছাড় + অন = ছাড়নমান্ + অত = মানতখাট্ + ইয়ে = খাটিয়েখাট্ + উনি = খাটুনিকাশ + আ = কাশাপড়্ + তি = পড়তিভাজ + আ = ভাজাবক্ + উনি = বকুনিচষ + আ = চষাকাট্ + তি = কাটতিঝাঁক + আ = ঝাঁকার্চি + উনি = চিরুনিপর + আ = পড়ার্ফি + তি = ফিরতিছাঁক + অন = ছাঁকনবাছ্ + আই = বাছাইহাস + আ = হাসাবাড়্ + তি = বাড়তিডুব + আ = ডুবালড়্ + আই = লড়াইদেখ + আই = দেখাইচড়্ +আই = চড়াইবাঁধ + অন = বাঁধনজ্বল + অন্ত = জ্বলন্তনির + আন = নিড়ানযাচ্ + আই = যাচাইখাট + আ = খাটাজীব্ + অন্ত = জীবন্তচড় + আ = চড়াডাক্ + আইত = ডাকাতসাজ + আ = সাজামাত্ + আল = মাতালডুব + উরি = ডুবুরিখুদ + আই = খোদাইপর + আই = পড়াইছাঁট + আই = ছাঁটাইউড় + আ = উড়াঝাল্ + আই = ঝালাইভাব + আ = ভাবাউড়্ + আনি = উড়ানিঠক + আ = ঠকাশুন্ + আনি = শুনানিনাচ + আ = নাচাঝাঁক্ + আনি = ঝাঁকানিদোল + অন = দোলনবাঁধ্ + আই = বাঁধাইছাড় + অ = ছাড়চড়্ + আও = চড়াওমার + অ = মারঢাল্ + আও = ঢালাওবাঁধ + অ = বাঁধনিড়্ + আনি = নিড়ানিবস + অতি = বসতিসাঁত্ + আরু = সাঁতারুমান + অত = মানতজ্বালা + আনি = জ্বালানীদুল + অ = দোলপাকড় + আও = পাকড়াওঘুর + অন = ঘুরনখা + ইয়ে = খাইয়েসাধ + অন = সাধনর্ঘি + আও = ঘেরাওধর + অন = ধরণগাঁথ + অন = গাঁথনলাঞ্ছ + অনা = লাঞ্ছনাভিক্ষ + আরি = তিখারিপাকড় + আও = পাকড়াওউঠ + তি = উঠতি
সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়
১. অনট (অন) প্রত্যয় : ‘অনট’ প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘অনট’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথম বর্ণের ‘ঈ’ পরিবর্তন হয় ‘অয়’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ‘ঋ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘অর’ হয়। যেমন:
√কৃ + অনট = করণ
√শী + অনট = শয়ন
√দা + অনট = দান
√গম + অনট = গমন
√স্থান + অনট = স্থান
√পা + অনট = পান
√দৃশ + অনট = দর্শন
√ভ্র + অনট = ভ্রমন
√নী + অনট = নয়ন
√শ্রু + অনট = শ্রবণ
২. ঘঞ (অ) প্রত্যয় : ঘঞ-প্রত্যয় সাধারণত ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য গঠনের জন্যে ব্যবহহৃত হয়। ধাতুর শেষে ‘ঘঞ’ প্রত্যয় যুক্ত হলে ধাতুর প্রথমে বর্ণের ‘অ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘আ’, ‘উ’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ও’, ‘ই’ পরিবর্তিত হয়ে ‘এ’ এবং ধাতুর শেষ বর্ণের ‘চ’ স্থানে ‘ক’, ‘জ, স্থানে ‘গ’ হয়। যেমন:
√শুচ + ঘঞ = শোক
√অদ্ + ঘঞ = ঘা
√ভূ + ঘঞ = ভাব
√বস্ + ঘঞ = বাস
√পচ + ঘঞ = পাক
√তপ + ঘঞ = তাপ
√রুজ + ঘঞ = রোগ
√ত্যজ + ঘঞ = ত্যাগ
৩. তব্য-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষ্যৎ অর্থে কর্মবাচ্য ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর ‘তব্য’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√কৃ + তব্য = কর্তব্য
√গম + তব্য = গন্তব্য
√জ্ঞা + তব্য = জ্ঞাতব্য
√বচ + তব্য = বক্তব্য
√দৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্য
√পৌ + তব্য = পঠিতব্য
√দান + তব্য = দাতব্য
√মন + তব্য = মন্তব্য
৪. অল (অ) প্রত্যয় : অল-প্রত্যয় ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ গঠনে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ল’ লোপ পেয়ে ‘অ’ থাকে। যেমন:
√জি + অল = জয়
√ভী + অল = ভয়
√ক্রী + অল = ক্রয়
√লুভ + অল = লোভ
৫. ক্ত (ত) প্রত্যয় : অতীতকালে কাজ হয়েছে এ অর্থ প্রকাশের জন্য ‘ক্ত’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। সাধিত পদগুলো বিশ্লষন হয়ে থাকে। প্রতায়ন্ত পদের শেষে ‘ক’ লোপ পেয়ে শুধু ‘ত’ থাকে। যেমন:
√খ্যা + ক্ত = খ্যাত
√শম + ক্ত = শাক্ত
√পত্ + ক্ত = পতিত
√ঘীন + ক্ত = হীন
√জ্ঞান + ক্ত জ্ঞাত
√ক্লম + ক্ত = ক্লান্ত
√গম + ক্ত = গত
√নন + ক্ত = নষ্ট
√দীপ + ক্ত = দীপ্ত
√কৃ + ক্ত = কৃত
৬. ক্তি (তি) প্রত্যয় : ক্রিয়াবাচক বা ভাববাচ্যক বিশেষ্য অর্থে ধাতুর সঙ্গে ‘ক্তি’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয় দ্বারা শব্দ গঠন কালে ধাতুর প্রথম বর্ণ সাধারণত অপরিবর্তিত থাকে এবং দ্বিতীয় বর্ণ লোপ পায়। যেমন:
√মুচ্ + ক্তি = মুক্তি
√দৃশ + ক্তি = দৃষ্টি
√কৃৎ + ক্তি = কীর্তি
√কৃষ + ক্তি = কৃষ্টি
√স্মৃতি + ক্তি = স্মৃতি
√সৃজ + ক্তি = সৃষ্টি
√শম + ক্তি = শান্তি
√বচ্ + ক্তি = উক্তি
√ভী + ক্তি = ভীতি
৭. যৎ (য) প্রত্যয় : কোন কিছু করা উচিত বা করার যোগ্য, এ অর্থে ধাতুর সাথে ‘যৎ’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো সাধারণত বিশেষণ পদরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
√পদ্ + যৎ = পদ্য
√জ্ঞান + যৎ = জ্ঞেয়
√সহ্ + যৎ = সহ্য
√দা + যৎ = দেয়
√গ্রহ্ + যৎ = গ্রাহ্য
√মন্ + যৎ = মান্য
√যুজ + যৎ = যোগ্য
√পূজ + যৎ = পূজ্য
√ধূ + যৎ = ধার্য
√পঠ + যৎ = পাঠ্য
৮. শানচ (মান) প্রত্যয় : ক্রিয়ার কাজ চলছে এ অর্থে ধাতুর অর্থে উত্তর কর্তৃ ও কর্মবাচ্যে ‘শানচ’ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:
√চল্ + শানচ = চলমান
√বৃৎ + শানচ = বর্তমান
√বৃধ + শানচ = বর্ধমান
√দীপ + শানচ = দীপ্তমান
√মুহ্ + শানচ = মুহ্যমান
৯. ইষ্ণু-প্রত্যয় : শীলার্থে ধাতুর উত্তর ‘ইষ্ণু’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষণ হয়। যেমন:
√ক্ষি + ইষ্ণু = ক্ষয়িষ্ণু
√সহ্ + উষ্ণু = সহিষ্ণু
√চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণু
√বধ্ + ইষ্ণু = বর্ধিষ্ণু
১০. ণক (অক) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যে ‘করেন যিনি’ এ অর্থে ধাতুর উত্তর ‘ণক’ (অক) প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত পদের শেষে ‘ণ’ লোপ পায় এবং ‘অক’ থাকে এবং প্রত্যয়সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:
√কৃ + ণক = কারক
√শাস + ণক = শাসক
√পচ + ণক = পাচক
√যুজ + ণক = যোজক
√পো + ণক = পাবক
√দৃশ + ণক = দর্শক
১১. ণ্যৎ (য) প্রত্যয় : ‘উচিত বা যোগ্য অর্থে’ ঋ-কারান্ত ও ব্যঞ্জনান্ত ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো প্রধানত বিশেষণ (কখনও কখনও বিশেষ্য) হয়। যেমন:
√ত্যজ + ণ্যৎ = ত্যাজা
√লক্ষ + ণ্যৎ = লক্ষ্য
√গম + ণ্যৎ = গম্য
√কৃ + ণ্যৎ = কার্য
√ভজ + ণ্যৎ = ভাজ্য
√ধৃ + ণ্যৎ = ধার্য
১২. তৃচ, তৃণ (তা) প্রত্যয় : শীলার্থে, সম্যক বা জীবিকা অর্থে ধাতুর পরে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:
√কৃ + তৃচ = কর্তা
√মা + তৃচ = মাতা
√ভ্রাজ + তৃচ = ভাতা
√দা + তৃচ = দাতা
√বচ্ + তৃচ = বক্তা
১৩. অনীয়-প্রত্যয় : ঔচিত্য, যোগ্যতা ও ভবিষৎ অর্থে ও ভাববাচ্যের ধাতুর উত্তর অনীয় প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
√গ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়
√শুচ + অনীয় = শোচনীয়
√বৃ + অনীয় = বরণীয়
√দুশ + অনীয় = দর্শনীয়
√গুপ্ + অনীয় = গোপনীয়
√স্মৃ + অনীয় = স্মরণীয়
১৪. বর-প্রত্যয় : ‘শীল’ অর্থে কর্তৃবাচ্যের ‘বর’ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:
√ভাস্ + বর = ভাস্বর
√ঈশ্ + বর = ঈশ্বর
√নশ্ + বর = নশ্বর
√স্থা + বর = স্থাবর
১৫. নিন (ইন) প্রত্যয় : কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। সাধিত পদ গুলো বিশ্লেষণ হয়। যেমন:
√দা + নিন = দায়ী
√মন্ত্র + নিন = মন্ত্রী
√বদ + নিন = বাদী
√ত্যাগ + নিন = ত্যাগী
√স্থা + নিন = স্থায়ী
√পা + নিন = পায়ী
১৬. শতৃ (অৎ) প্রত্যয় : বর্তমান কালের কর্তৃবাচ্যের ধাতুর উত্তর এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। বাংলা ভাষায় এর প্রয়োগ নেই বললেই চলে। সাধিত পদগুলো বিশেষ্য হয়। যেমন:
√জীব্ + শতৃ = জীবৎ
√অস্ + শতৃ = অসৎ
√জল + শতৃ + জলৎ
√জাগ্ + শতৃ = জাগ্রৎ
√মহ + শতৃ = মহৎ
√চল + শতৃ = চলৎ
■ সংস্কৃত কৃৎ-প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ
প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দপ্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দপ্রী + অ = প্রিয়ভূ + অন = ভবনগ্রহ + অনীয় = গ্রহনীয়গম্+ তি = গতিপাল্ + ণক = পালকবৃৎ + শানচ = বর্তমানদা + তৃচ = দাতাযাচ্ + আই = যাচাইজীব্ + অ = জীবচর + অন = চরণজি + ইন = জয়ীকৃষ + তি = কৃষ্টিধূ + ণক = ধারকদীপ + শানচ = দীপ্যমানশ্রু + তৃচ = শ্রতাহিনস্ + আ = হিংসাপিপাস + অ = পিপাসাদ্রু + অন = দ্রবণত্যাজ + ইন = ত্যাগীদৃশ + তি = দৃষ্টিপঠ্ + ণক = পাঠকচল + শানচ = চলমানযুধ + তৃচ = যোদ্ধাসহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণুপ্র-শনস্ + আ = প্রশংসাচুম্ব্ + অন = চুম্বনযুজ্ + ইন = যোজীসৃজ + তি = সৃষ্টিহণ + ণক = ঘাতকশুভ + শানচ = শোভমাননী + তৃচ = নেতাপ্রচ্ছ + ন = প্রশ্নভিক্ষ + আ = ভিক্ষাকৃষ + অন = কর্ষণত্যাজ + ইন = ত্যাজীশক্ + তি = শক্তিশাস + ণক = শাসকগম + তব্য = গন্তব্যপা + তৃচ = পিতাকৃ + মন = কর্মকথ্ + আ = কথাশী + অন = শয়নদুট্ + ই = দুটিখ্যা + তি = খ্যাতিলিখ্ + ণক = লেখকবচ্ + তব্য = বক্তব্যলিখ্ + ইত = লিখিতদৃশ্ + মান = দৃশ্যমানজন্ + অক = জনকদা + অন = দানকৃষ্ + ই = কৃষিমন + তি = মতিকৃষ্ + ণক = কৃষককৃ + তব্য = কর্তব্যলভ্ + য = লভ্যবস্ + ত্র = বস্ত্রমুড়্ + অক = মোড়কজ্ঞা + অন = জ্ঞানদূষ + ই = দোষীকৃৎ + তি = কীর্তিকৃ + ণক = কারকদৃশ + তব্য = দ্রষ্টব্যবচ্ + য = বাচ্য, বাক্যবৃৎ + মান = বর্তমাননি + অক = নায়কতপ্ + অন = তপনদীপ + ত = দীপ্তগৈ + তি = গীতিদৃশ + ণক = দর্শকমন + তব্য = মন্তব্যহন্ + য = হত্যাহন + তৃ = হন্তানৃৎ + অক = নর্তকবদ্ + অন = বদনরমজ্ + ত = রক্তকৃ + তি = কৃতিগৈ + ণক = গায়কবচ্ + তব্য = বক্তব্যসহ্ + য = সহাঅস + শতৃ = অসৎগৈ + অক = গায়কদৃশ্ + অন = দর্শনধৃ + ত = ধৃতবচ্ + তি = উক্তিনশ + ণক = নাশককৃ + তৃচ্ = কর্তাহস্ + য = হাস্যমহ + শতৃ = মহৎকৃ + অক = কারকনী + অন = নয়নহন্ + ত = হতবুধ + তি = বুদ্ধিমৃ + অনট্ = মরণবচ্ + তৃচ = বক্তাকৃ + য = কার্যগৈনী + অন = গানশী + আন = শয়ননী + তি = নীতিকৃ + ত = কৃতদা + তৃচ = দাতাস্মৃ + অনট্ = স্মরণদয় + আলু = দয়ালুবাচ্ + মিন = বাগ্মীবিদ্ + অন = বেদনশ্রু + অন = শ্রবণপচ্ + ণক = পাচকগম্ + ত = গতনী + তৃচ = নেতাগম্ + অনট্ = গমনদৃশ + অনীয় = দর্শনীয়চল + ইষ্ণু = চলিষ্ণুযুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধাপত + অন = পতনণিচ্ + অন্ত = ণিজন্তক্লিশ্ + ত = ক্লিষ্টযুধ্ + তৃচ্ = যোদ্ধাশ্রু + অনট্ = শ্রবণফল্ + অন্ত = ফলন্তসহ + ইষ্ণু = সহিষ্ণু
বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়
বংলা ভাষায় তদ্ধিত প্রত্যয় বহুবিধ। যেমন: অই, অক, অল, আই, আচ, আ, অন, আইত, আরি, আরী, আচি, আর, আরু, আলি, আল, ই, ঈ, ইয়া, (এ), কর, কার, ওয়া, উলি, উকি, গিরি, টিয়া, (ট), টা, জাত, পনা, না, তা, দার, ড়া, ময়, ভর, পানা ইত্যাদি। এগুলো বাংলা মূল শব্দের পরে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
১.অ-প্রত্যয় : অনুকার শব্দের শেষে বা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি বা বস্তু বুঝাতে অ-প্রত্যয় হয়। যেমন:
ঢল + অ = ঢল ˃ ঢলো
শিব + অ = শিব ˃ শিবো
মূল + অ = মূল ˃ মূলো
কাল + অ = কাল ˃ কালো
২. আ-প্রত্যয় : স্বার্থে, আছে অর্থে, জাত বা উৎপন্ন অর্থে, অবজ্ঞা প্রকাশার্থে, বৃহদার্থে ও বিশেষণে পরিণত করতে আ-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
চাক + আ = চাকা
চাষ + আ = চাষা
ঘোড় + আ = ঘোড়া
জঙ্গ + আ = জঙ্গলা
জ্বল + আ = জ্বলা
শ্যাম + আ = শ্যামা
চাঁদ + আ = চাঁদা
ঠোঙ + আ = ঠোঙা
চীন + আ = চীনা
ফাঁক + আ = ফাঁকা
৩. অই-প্রত্যয় : পাঁচ থেকে আঠার পর্যন্ত তারিখ বুঝাতে অই-প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
পাঁচ + অই = পাঁচই
আঠার + অই = আঠারই
সাত + অই = সাতই
তের + অই = তেরই
৪. অট (ট), আটিয়া (টিয়া, টে) প্রত্যয় : সংশ্লিষ্ট বস্তু অর্থে বা সাদৃশ্য অর্থে বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
মলা + অট = মলাট
রোগ + টে = রোগেটে
তুলা ˃ তুল + অট = তুলট
তামা + টিয়া = তামাটিয়া ˃ তামাটে
ঝগড়া + টে = ঝগড়াটে
ভরা + অট = ভরাট
লম্বা + টিয়া = লম্বাটিয়া ˃ লম্বাটে
ভাড়া + টিয়া = ভাড়াটিয়া ˃ ভাড়াটে
৫. আ আনো-প্রত্যয় : আন আনো প্রত্যয়ান্ত শবদটি বিশেষণ হয়। যেমন:
হাত + আন = হাতান ˃ হাতানো
জুত + আন = জুতান ˃ জুতানো
বেত + আন = বেতান ˃ বেতানো
যোগ + আন = যোগান ˃ যোগানো
৬. আনি-প্রত্যয় : ভাবার্থে, কার্যার্থে, স্বার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষ্য হয়। যেমন:
বক বক + আনি = বকবকানি
তল + আনি = তলানি
বিবি + আনি = বিবিয়ানি
বাবু + আনি = বাবুয়ানি
কাতর + আনি = কাতরানি
হাঁপ + আনি = হাঁপানি
৭. আই-প্রত্যয় : আই-প্রত্যয় বিভিন্নঅর্থে ব্যবহৃত হয়। যেমন:
ক. বিশেষ্য পদ গঠনে (আদরার্থে) :
নিম + আই = নিমাই
বল + আই = বলাই
কান + আই = কানাই
মধু + আই = মাধাই
খ. বিশেষ্য পদ গঠনে (ভাবার্থে) :
লম্ব + আই = লম্বাই
বড় + আই = বড়াই
চড়া + আই = চড়াই
খাড়া + আই = খাড়াই
গ. বিশেষ্য বা বিশেষণ গঠনে (কর্ম অর্থে) :
বাঁধ + আই = বাঁধাই
কাম + আই = কামাই
সাফ + আই = সাফাই
চোর + আই = চোরাই
ঘ. বিশেষ্য পদ গঠনে (উৎপন্ন অর্থে)
ঢাকা + আই = ঢাকাই
ধান + আই = ধানাই
মোগল + আই = মেগলাই
ঙ. বিশেষ্য পদ গঠনে (সম্বন্ধ অর্থে)
বোন + আই = বোনাই
মিঠা + আই = মিঠাই
ননদ + আই = ননদাই
জেঠা + আই = জেঠাই
৮. আমি (মি) প্রত্যয় : ভাব বা কাজ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:
পাক্য + আমি = পাকামি
গোঁড়া + আমি = গোঁড়ামি
পাগল + আমি = পাগলামি
ফাজিল + আমি = ফাজলামি
৯. আলি, আলী-প্রত্যয় : সম্বন্ধ বা সাদৃশ্য অর্থে এবং ভাবার্থে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য বা বিশেষণ হয়। যেমন:
চতুর + আলী = চতুরালী
ঘটক + আলি = ঘটকালি
সোনা + আলি = সোনালি
ভাটি + আলি = ভাটিয়ালি
মেয়ে + আলী = মেয়েলী
রূপা + আলি = রূপালি
১০. আচ, আচি-প্রত্যয় : এ প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশ্লেষণ হয়। যেমন:
বেঙ + অচি = বেঙাচি
ছোঁয়া + আচ = ছোঁয়াচ
ধুনা + আচি = ধুনাচি
কান + আচ = কানাচ
১১. আর, আরি, আরী-প্রত্যয় : ব্যবসা, পেশা বা বৃত্তি বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:
সুত + আর = সুতার
কাঁসা + আরী = কাঁসারী
কাট + আরি = কাটারি
ঝি + আরী = জিয়ারী
রকম + আরি = রকমারি
১২. ইয়া এ-প্রত্যয় : সংযোগ বা সম্বন্ধ বুঝাতে ইয়া এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:
মোট + ইয়া = মুটিয়া ˃ মুটে
জাল + ইয়া = জালিয়া ˃ জেলে
হলুদ + ইয়া = হলুদিয়া ˃ হলদে
বালি + ইয়া = বালিয়া ˃ বেলে
পাহাড় + ইয়া = পাহাড়িয়া ˃ পাহারে
আষাঢ় + ইয়া = আষাঢ়িয়া ˃ আষাঢ়ে
১৩. ই, ঈ-প্রত্যয় : ভিন্নার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন-
ক. ভাব অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে ঃ
সওদাগর + ই = সওদাগরি
বাহাদুর + ই = বাহাদুরি
উমেদার + ই = উমেদারি
খ. পেশা বা বৃত্তি অর্থে এ প্রত্যয় হয় এবং প্রত্যয়ান্ত পদ বিশেষণ হয়ঃ
চাষ + ঈ = চাষী
ব্যাপর + ঈ = ব্যাপারী
রাখাল + ঈ = রাখালী
ঢাক + ঈ = ঢাকী
পোদ্ধার + ঈ = পোদ্ধারী
ডাক্তার + ঈ = ডাক্তারী
গ. জাত, আগত, বা সম্বন্ধ অর্থে বিশেষ্য পদ গঠনে
গুজরাট + ঈ = গুজরাটী
বিলাত = ঈ = বিরাতী
পসার + ঈ = পসারী
পাঞ্জাব + ঈ = পাঞ্জাবী
কয়েদ + ঈ = কয়েদী
রেমম + ঈ = রেশমী
ঘ. মালিক অর্থে
দোকান + ঈ = দোকানী
জমিদার + ঈ = জমিদারী
১৪. উয়া ও-প্রত্যয় : বিশেষণার্থে, সম্বন্ধ বা সংযোগ বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষন হয়। যেমন:
পট + উয়া = পটুয়া ˃ পটো
মাছ + উযা = মাছুয়া ˃ মেছো
জড় + উয়া = ঝড়-য়া ˃ ঝড়ো
মাঠ + উয়া = মাঠুয়া ˃ মেঠো
ভাত + উয়া = ভাতুয়া ˃ ভেতো
১৫. উ, উক-প্রত্যয় : স্বভাব অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:
হিংসা + উক = হিংসুক
সাঁতার + উ = সাঁতারু
ভাব + উক = ভাববুক
নীচু + উ = নীচু
মিশ + উক = মিমুক
১৬. উড়িয়া উড়ে প্রত্যয় : প্রত্যয়ান্ত শব্দটি বিশেষণ হয়। যেমন:
খেলা + উড়িয়া = খেলুড়িয়া ˃ খেলুড়ে
হাত + উড়িয়া = হাতুড়িয়া ˃ হাতুড়ে
সাপ + উড়িয়া = সাপুড়িয়া ˃ সাপুড়ে
চাষা + উড়িয়া = চাষাড়িয়া ˃ চাষাড়ে
১৭. বন্ত, মন্ত-প্রত্যয় : আছে অর্থে ও যুক্ত অর্থে বন্ত, মন্ত প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:
প্রাণ + বন্ত = প্রাণবন্ত
শ্রী + মন্ত = শ্রীমন্ত
ভাগ্য + বন্ত = ভাগ্যবন্ত
বুদ্ধি = মন্ত = বুদ্ধিমন্ত
গুণ + বন্ত = গুণবন্ত
পয় + মন্ত = পয়মন্ত
১৮. ভর, ভরা-প্রত্যয় : পূর্ণতা অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
দিন + বর = দিনভর
গাল + ভরা = গালভরা
রাত + ভর = রাতভর
১৯. ত, তা, তি- প্রত্যয় : আত্মীয় ও ভাবার্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
খালা + ত = খালাত
সম + তা = সমতা
মামা + ত = মামাত
চাক + তি = চাকতি
ধর + তা = ধরতা
জাল + তি = জালতি
২০. কা-প্রত্যয় : সাদৃশ্য বুঝাতে এ প্রত্যয় যুক্ত হয়। যেমন:
ঘাল + কা = হালকা
দম + কা = দমকা
২১. কার-প্রত্যয় : স্বরবর্ণের চিহ্ন বুঝাতে এবং সম্পর্কিত অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
আ + কার = আকার
উপর + কার = উপরকার
উ + কার = উকার
ভিতর + কার = ভিতরকার
২২. পানা, পারা-প্রত্যয় : সাদৃশ হতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষণ হয়। যেমন:
লম্বা + পানা = লম্বাপানা
চাঁদ + পারা = চাঁদপারা
চাঁদ + পানা = চাঁদপানা
পাগল + পারা = পাঘলপারা
কুলো + পনা = কুলোপানা
২৩. পনা-প্রত্যয় : ভাব বা আচরণ অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয় এবং প্রত্যয়ান্ত শব্দ বিশেষ্য হয়। যেমন:
সতী + পনা = সতীপনা
দুরন্ত + পনা = দুরন্তপনা
গুন + পনা = গুণপনা
বীর + পনা = বীরপনা
বেহায়া + পনা = বেহায়াপনা
গৃহিণী + পনা = গৃহিণীপনা
২৪. টা, টি-প্রত্যয় : নির্দিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
নেং + টা = নেংটা
কলম + টি = কলমটি
ডাল + টা = ডালটা
ছিপ্ + টি = ছিপটি
২৫. ন, না-প্রত্যয় : সম্পর্কীয় এবং বিশিষ্ট অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
মিতা + ন = মিতান
ফাৎ + না = ফাৎনা
বেহাই + ন = বেহাইন
দাল + না = দালনা
২৬. উ, উলী-প্রত্যয় : আদর প্রকাশ করতে ও ক্ষুদ্রতা বুঝাতে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
খোকা + উ = খুকু
আধ + উলী = আধুলী
দুষ্ট + উ = দুষ্টু
হাঁস + উলী = হাঁসুলী
২৭. স, সী-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও সৌন্দর্য অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
ফান + স = ফানুস
রূপ + সী = রূপসী
খোল + স = খোলস
২৮. অল-প্রত্যয় : সাদৃশ্য ও স্বার্থে ‘অল’ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
হাত + অল = হাতল
বাদ + অল = বাদল
মাথা + অল = মাথাল
তাত + অল = তাতল
২৯. আইত-প্রত্যয় : আছে অর্থে এ প্রত্যয় ব্যবহৃত হয়। যেমন:
পোয়া + আইত = পোয়াইত
সেবা + আইত = সেবাইত
৩০. ময়-প্রতয় :
ঘর + ময় = ঘরময়
গ্রাম + ময় = গ্রামময়
বাড়ি + ময় = বাড়িময়
শহর + ময় = শহরময়
কাদা + ময় = কাদাময়
জল + ময় = জলময়
৩১. ড়, ড়া, ড়ী-প্রত্যয় :
ভাঙ্গ + ড় = ভাঙ্গর
খাগ + ড়া = খাগড়া
আছ + ড় = আছড়
চাম + ড়া = চামড়া
পাগ + ড়ী = পাগড়ী
৩২. ওয়া-প্রত্যয় :
ঘর + ওয়া = ঘরোয়া
পর + ওয়া = পরোয়া
চাঁদ + ওয়া = চাঁদোয়া
■ বাংলা তদ্ধিত প্রত্যয়ের কতিপয় উদাহরণ
প্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দপ্রকৃতি + প্রত্যয় = শব্দহাত + আ = হাতাধ্রুপদ + ঈ = ধ্রুপদীভাটি + আল = ভাটিয়ালভিখ + আরী = ভিখারীপো + লা = পোলারাজ + ড়া = রাজড়াপাত = আ = পাতাচাষ + ঈ = চাষীবঙ্গ + আল = বাঙ্গালঝি + আরী = ঝিয়ারীমঘ + লা = মেঘলাফর + সা = ফরসাপাগল + আ = পাগলাকয়েদ + ঈ = কয়েদীরস + আল = রসালমাঝ + আরি = মাঝারিকাম + লা = কামলাগাছ + ড়া = গাছড়াচাঁদ + আ = চাঁদাচালাক + ঈ = চালাকীধার + আল = ধারালদাপ + অট = দাপটমি + আলী = মিতালীলাল + চে = লালচেএক + আ = একামরমা + ঈ = মরমীনাক + আনি = নাকানিমলা + অট = মলাটঘটক + আলি = ঘটকালীঘাম + চি = ঘামাচিরঙ + আ = রাঙাশিকার + ঈ = শিকারীআম + আনি = আমানিশুখা + টি = শুখটি ˃ শুটকিজল + ওয়া = জলোবেঙ + চি = বেঙাচিচাকর + ই = চাকরিখোকা + উ = খুকুবড় + আই = বড়াইনেহ + টা = নেহটাগাঁ + ওয়া = গাঁওয়া ˃ গেঁয়োজন + পিছু = জনপিছুগোল + ই = গুলিচাল + উ = চালুঢাকা + আই = ঢাকাইঘোলা + টে = ঘোলাটেটাক + ওয়া = টেকোগো + রু = গোরুছোরা + ই = ছুরিসাঁতার + উ = সাঁতারুমিঠা + আই = মিঠাইঝগড়া + টে = ঝগড়াটেঘর + ওয়া = ঘরোয়াবোম + আরু = বোমারুকাঠ + ই = কাঠিহাত + অল = হাতলচোর + আই = চোরাইখে + টা = খেমটাবন + উয়া = বুনোছাত + আ = ছাতাচালাক + ই = চালাকিলাঠি + আল = লাঠিয়ালআঠার + অই = আঠারইহিম + এল = হিমেললাজ + উক = লাজুকপিছ + অন = পিছনবাঙ্গল + ই = বাঙ্গালিদুধ + আল = দুধালপেট + উক = পেটুকসুর + এলা = সুরেলাদিন + ভর = দিনভরএক + হারা = একহারাপশম + ই = পশমীআড় + আল = আড়ালছেলে + আমি = ছেলেমিঝাম + এলা = ঝামেলারাত + বর = রাতভরমানান + সই = মানানসইপোঁথা + ই = পুঁথিদাঁত + আল = দাঁতালবোকা + আমি = বোকামিআগ + ল = আগলপান + ওয়ালা = পানওয়ালাপাত + লা = পাতলাদালাল + ই = দালালিধার + অল = ধারালঘর + আমি + ঘরামিহাট + উড়িয়া = হাটুড়িয়াবাড়ি + ওয়ালা = বাড়িওয়ালাকোঠ + রী = কোঠরীজমিদার + ই = জমিদারিগাজ + অর = গাজরপাগল + আমি = পাগলামি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *