অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২: পাঠক-পাঠিকা বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছো। আজকে আমরা অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন ও উত্তর তুলে ধরছি। অষ্টম শ্রেণীর বাংলা ব্যাকরণ থেকে 50 টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন এবং উত্তর সহ দিয়েছি।
অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
শ্রেণি— অষ্টম
বাংলা দ্বিতীয় পত্র
অধ্যায়— প্রথম
সময়: ৫০ মিনিট পূর্ণমান ঃ ৫০
০১. মানুষ নিচের কোনটির সাহায্যে সম্পূর্নভাবে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে?
ক. অঙ্গ—প্রত্যঙ্গের ইঙ্গিতের সাহায্যে
খ. কণ্ঠধ্বনির সাহায্যে
গ. চিত্রাঙ্কনের সাহায্যে
ঘ. ঘোষ ও অঘোষ ধ্বনির সাহায্যে
০২. ভাষা কিসের দ্বারা সৃষ্ট হয়?
ক. মনের সাহায্যে খ. অঙ্গ—প্রত্যঙ্গের সাহায্যে
গ. ঠেঁাটের সাহায্যে ঘ. বাগ্যন্ত্রের সাহায্যে
০৩. বাংলা ভাষার মূল উৎস কী?
ক. হিন্দি ভাষা খ. বৈদিক ভাষা
গ. কানাড়ি ভাষা ঘ. অনার্য ভাষা
০৪. কোন ভাষা হতে বাংলা ভাষার জš§ হয়?
ক. পালি খ. হিন্দি
গ. উড়িয়া ঘ. বঙ্গকামরূপী
০৫. মনের ভাব প্রকাশের প্রধান বাহন কোনটি?
ক. ভাষা খ. চিত্র
গ. ইঙ্গিত ঘ. আচরণ
০৬. নির্দিষ্ট পরিবেশে মানুষের বস্তু ও ভাবের প্রতীক কোনটি?
ক. শব্দ খ. বাক্য
গ. পদ ঘ. অক্ষর
০৭. বাংলাদেশ ছাড়া আর কোন অঞ্চলের মানুষের সর্বজনীন ভাষা বাংলা ভাষা?
ক. আসাম ঘ. পশ্চিমবঙ্গ
গ. গুজরাট ঘ. উত্তর প্রদেশ
০৮. ভাষা কী?
ক. উচ্চারণের প্রতীক খ. কণ্ঠের উচ্চারণ
গ. ভাব প্রকাশের মাধ্যম ঘ. ধ্বনির সমষ্টি
০৯. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শন কোনটি?
ক. মহাভারত খ. চর্যাপদ
গ. রামায়ণ ঘ. জঙ্গনামা
১০. বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রথম নিদর্শন কোনটি?
ক. মধুমালতী খ. সিকান্দরনামা
গ. শ্রীকৃষ্ণকীর্তন ঘ. বৈষ্ণব পদাবলি
১১. মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃত বাক্সংকেতের সংগঠনকে কী বলে?
ক. ধ্বনি খ. শব্দ
গ. বাক্য ঘ. ভাষা
১২. কিসের ভেদে ভাষার পার্থক্য ও পরিবর্তন ঘটে?
ক. দেশ ও কালভেদে
খ. দেশ, কাল ও ব্যক্তিভেদে
গ. কাল, পরিবেশ ও ব্যক্তিভেদে
ঘ. দেশ, কাল ও পরিবেশভেদে
১৩. এক এক গোষ্ঠীর মধ্যে নিয়ম—শৃঙ্খলাজাত ধ্বনিপুঞ্জ কে কী বলে?
ক. ধ্বনি খ. শব্দ
গ. বর্ণ ঘ. ভাষা
১৪. বর্তমানে পৃথিবীতে ভাষা প্রচলিত আছে—
ক. দুই হাজার খ. পাঁচ হাজারের ওপর
গ. সাড়ে তিন হাজারের ওপর
ঘ. সাড়ে সাত হাজারের ওপর
১৫. বাংলাদেশ ছাড়া নিচের কোন অঞ্চলের মানুষের ভাষা বাংলা?
ক. উড়িষ্যা খ. তামিল
গ. নাগপুর ঘ. মিজুরাম
১৬. ভাষাভাষীদের দিক থেকে পৃথিবীতে বর্তমানে বাংলা ভাষার স্থান কততম?
ক. চতুর্থ খ. পঞ্চম
গ. ষষ্ঠ ঘ. সপ্তম
১৭. বাংলা গদ্য কোন যুগের ভাষার নিদর্শন?
ক. প্রাচীন যুগ খ. মধ্যযুগ
গ. অন্ধকার যুগ ঘ. আধুনিক যুগ
১৮. বাংলা ভাষার রীতি কয়টি?
ক. দুইটি খ. তিনটি
গ. চারটি ঘ. পাঁচটি
১৯. পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষায় কয়টি রূপ লক্ষ করা যায়?
ক. ১টি খ. ২টি
গ. ৩টি ঘ. ৪টি
২০. সাধু ও চলিত রীতি বাংলা ভাষার কোন রূপে রয়েছে?
ক. লেখ্য খ. কথ্য
গ. আঞ্চলিক ঘ. উপভাষা
২১. ভাষার কোন রীতি তদ্ভব শব্দবহুল?
ক. সাধুরীতি খ. আঞ্চলিক কথ্য রীতি
গ. সাধু এবং চলিত উভয় রীতি ঘ. চলিত রীতি
২২. কোন রীতি তৎসম শব্দবহুল?
ক. সাধুরীতি খ. চলিত রীতি
গ. কথ্যরীতি ঘ. লেখ্যরীতি
২৩. ভাষার কোন রীতি নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী?
ক. চলিত রীতি খ. কথ্য রীতি
গ. সাধুরীতি ঘ. আঞ্চলিক রীতি
২৪. কথা—বার্তা, বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের জন্য কোন ভাষা উপযোগী?
ক. চলিত খ. সাধু
গ. মিশ্র ঘ. উপজাতীয়
২৫. বক্তৃতার ভাষার কোন রীতির ব্যবহার করা বাঞ্ছনীয়?
ক. সাধু খ. চলিত
গ. কথ্য বাংলা ঘ. আঞ্চলিক
২৬. (পর্তুগীজ ভাষায়) বাংলা ব্যাকরণ প্রথম রচনা করেন কে?
ক. উইলিয়াম কেরী খ. ড. মুহম্মদ শহীদুল−াহ
গ. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
ঘ. মনুয়েল দ্য আসসুম্ভ সাঁও
২৭. (ইংরেজি ভাষায়) বাংলা ব্যাকরণ প্রথম রচনা করেন কে?
ক. ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় খ. মি. এন. বি. হ্যালহেড
গ. উইলিয়াম কেরী ঘ. ড. মুহম্মদ শহীদুল−াহ
২৮. (বাংলা ভাষায়) বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থ প্রথম কোন বাঙালি রচনা করেন?
ক. রামরাম বসু
খ. রামনারায়ণ তর্করত্ন
গ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ. রাজা রামমোহন রায়
২৯. বাংলা ব্যাকরণ প্রথম কোন বাঙালি বাংলা ভাষায় রচনা করেন?
ক. ড. সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায় খ. রাজা রামমোহন রায়
গ. ড. মুহম্মদ শহীদুল−াহ ঘ. ড. এনামুল হক
৩০. ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’ কোনটি?
ক. এন.বি. হ্যালহেড রচিত ব্যাকরণ
খ. ড. সুনীতিকুমার রচিত বাংলা ব্যাকরণ
গ. রাজা রামমোহন রায় রচিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
ঘ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর রচিত বাংলা ব্যাকরণ
৩১. রাজা রামমোহন রায়ের রচিত বাংলা ব্যাকরণের নাম কী?
ক. গৌড়ীয় ব্যাকরণ খ. মাগধীয় ব্যাকরণ
গ. মাতৃভাষার ব্যাকরণ ঘ. ভাষা ও ব্যাকরণ
৩২. কোনটি প্রাচীন বাংলা ব্যাকরণ?
ক. ব্যাকরণ মঞ্জরী
খ. আধুনিক বাংলা ব্যাকরণ
গ. অ এৎধসসধৎ ড়ভ ঃযব ইবহমধষর খধহমঁধমব
ঘ. সরল ভাষাপ্রকাশ বাংলা ব্যাকরণ
৩৩. ব্যাকরণের কাজ কী?
ক. ভালো বক্তা তৈরি করা
খ. ভালো অভিনেতা তৈরি করা গ. দ্রুত লেখা শেখানো
ঘ. ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবিষ্কার করা
৩৪. ‘ব্যাকরণ’ শব্দের সঠিক অর্থ কোনটি?
ক. বিশেষভাবে বিভাজন খ. বিশেষভাবে বিশে−ষণ
গ. বিশেষভাবে বিয়োজন ঘ. বিশেষভাবে সংযোজন
৩৫. ব্যাকরণের মূল ভিত্তি কী?
ক. ধ্বনি খ. ভাষা
গ. শব্দ ঘ. বাক্য
৩৬. কী কারণে ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজন?
ক. ভাষা শিক্ষার জন্য
গ. ভাষার শুদ্ধাশুদ্ধি নির্ণয়ের জন্য
গ. ভাষা বিষয়ে জ্ঞান দানের জন্য খ. ভাষার বিকাশের জন্য
৩৭. বাংলা ব্যাকরণের প্রধান আলোচ্য বিষয় কয়টি?
ক. ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৩৮. আলোচনার বিষয়বস্তু অনুসারে বাংলা ব্যাকরণকে কয়টি অংশে বিভক্ত করা হয়েছে?
ক. ২টি খ. ৩টি
গ. ৪টি ঘ. ৫টি
৩৯. প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে। অংশগুলো কী কী?
ক. ধ্বনি, শব্দ, বাক্য, অর্থ
খ. শব্দ, সন্ধি, সমাস, ধ্বনি
গ. অনুসর্গ, উপসর্গ, শব্দ, সন্ধি
ঘ. ধ্বনি, শব্দ, বর্ণ, বাক্য
৪০. নিচের কোনটি ভাষার মৌলিক অংশ?
ক. তৎসম শব্দ খ. অর্থ
গ. সন্ধি ঘ. পদ প্রকরণ
৪১. ব্যাকরণের আলোচ্য বিষয় চারটি কী কী?
ক. ধ্বনিতত্ত্ব, রূপতত্ত্ব,বাক্যতত্ত্ব বা পদক্রম, অর্থতত্ত্ব
খ. ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, বাক্যতত্ত্ব
গ. রূপতত্ত্ব, পদধম, ভাষাতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব
গ. বাক্যতত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব, ধ্বনিতত্ত্ব, শব্দতত্ত্ব
৪২. কোন বিষয়টি ব্যাকরণের আনুষঙ্গিক আলোচ্য বিষয়?
ক. ধ্বনি খ. কারক
গ. ছন্দ ঘ. বাক্য
৪৩. ভাষাকে রূপদান করতে কিসের সাহায্য নিতে হয়?
ক. বাগধারার খ. অঙ্গ—প্রত্যঙ্গের
গ. বাগযন্ত্রের ঘ. চক্ষু ও কর্ণের
৪৪. সন্ধি ব্যাকরণের কোন অংশের আলোচ্য বিষয়?
ক. রূপতত্ত্ব খ. ধ্বনিতত্ত্ব
গ. পদধম ঘ. বাক্য প্রকরণ
৪৫. ণত্ব ও ষত্ব বিধান বাংলা ব্যাকরণের কোন অংশে আলোচিত হয়?
ক. রূপতত্ত্ব খ. ধ্বনিতত্ত্ব
গ. ভাষাতত্ত্ব ঘ. বাক্যতত্ত্ব
৪৬. সন্ধি, ণত্ব ও ষত্ব বিধান, বর্ণের বিন্যাস ইত্যাদি কিসের আলোচ্য বিষয়?
ক. বাক্যতত্ত্ব খ. অর্থতত্ত্ব
গ. ধ্বনিতত্ত্ব ঘ. রূপতত্ত্ব
৪৭. ধ্বনিতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী কী?
ক. সন্ধি, সমাস, ণত্ব ও ষত্ব বিধান
খ. বাক্য গঠন ও উচ্চারণ
গ. সন্ধি, উপসর্গ ও প্রত্যয়
ঘ. বর্ণ ও বর্ণের উচ্চারণাদি
৪৮. ব্যাকরণের ‘ধ্বনিতত্ত্ব’ অংশে আলোচিত হয়—
ক. বর্ণ, সন্ধি, ণত্ব বিধান, ষত্ব বিধান
খ. শব্দ, পদ, লিঙ্গ, বচন, কারক, সমাস, প্রত্যয়
গ. বাক্য প্রকরণ, বাচ্য, বাগধারা ইত্যাদি
ঘ. উপরের সবকয়টি
৪৯. বাংলা ব্যাকরণের কোন অংশে বর্ণের বিন্যাস আলোচিত হয়?
ক. বাক্যতত্ত্বে খ. ধ্বনিতত্ত্বে
গ. শব্দতত্ত্বে ঘ. রূপতত্ত্বে
৫০. কোন বিষয়টি ধ্বনিতত্ত্বে আলোচিত হয়?
ক. বাগধারা খ. সমাস
গ. কারক ঘ. সন্ধি
অষ্টম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় পত্র প্রশ্ন ও উত্তর ২০২২
০১. খ
০২. ঘ
০৩. খ
০৪. ঘ
০৫. ক
০৬. ক
০৭. ঘ
০৮. গ
০৯. খ
১০. গ
১১. ঘ
১২. ঘ
১৩. ঘ
১৪. গ
১৫. ক
১৬. ক
১৭. ঘ
১৮. ক
১৯. খ
২০. ক
২১. ঘ
২২. ক
২৩. গ
২৪. ক
২৫. খ
২৬. ঘ
২৭. খ
২৮. ঘ
২৯. খ
৩০. গ
৩১. ক
৩২. গ
৩৩. ঘ
৩৪. খ
৩৫. খ
৩৬. গ
৩৭. গ
৩৮. গ
৩৯. ক
৪০. খ.
৪১. ক
৪২. গ
৪৩. গ
৪৪. খ
৪৫. খ
৪৬. গ
৪৭. ঘ
৪৮. ক
৪৯. খ
৫০. ঘ
প্রিয় পাঠক, উপরে আমরা বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের ভাষা টপিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ 50 টি প্রশ্ন দিয়ে একটি মডেল টেস্ট দিয়েছি। আশা এমন টেস্টটি পড়ো একাডেমিক প্রস্তুতি পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি জবের প্রস্তুতি উপকারে আসবে আশা করি।
আড়ও পরুন
বাংলা ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কিঃ প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আপনাকে স্বাগতম আমাদের ওয়েবসাইটে। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে মূলত শিক্ষা মূলক পোস্ট করে থাকি এবং বিভিন্ন চাকরির প্রস্তুতি এবং ছাত্রীর নিউজ বিষয়ে কন্ট্রোল প্রকাশ করি । আজকে আমরা বাংলা ব্যাকরণ ও এর আলোচ্য বিষয় কয়টি এবং বাংলা ব্যাকরণ কত প্রকার ও কি কি নিয়ে বিশদ আলোচনা করব। তো চলুন তাহলে শুরু করা যাক আজকের টপিক নিয়ে আলোচনা।
বাংলা ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ
ড. মুহম্মদ এনামুল হক বাংলা ভাষার ব্যাকরণের তিন রকম শ্রেণিবিভাগ করেছেন:
১. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ
২. তুলনামূলক ব্যাকরণ
৩. ব্যবহারিক ব্যাকরণ
অন্যদিকে ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় ব্যাকরণের ক্সবশিষ্ট্যসমূহ বিশ্লেষণ করে
ব্যাকরণকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন ব্যাকরণবিদ ড.
সুনীতিকুমারের শ্রেণিবিভাগটিকে গ্রহণ করেছেন। তাঁর ব্যাকরণের শ্রেণিবিভাগ নিম্নরূপ:
১. বর্ণনামূলক ব্যাকরণ
২. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ
৩. তুলনামূলক ব্যাকরণ
৪. দার্শনিক —বিচারমূলক ব্যাকরণ
১. বর্ণনামূলক ব্যাকরণ: বিশেষ কোনো কালের কোনো একটি ভাষারীতি ও
তার প্রয়োগ সম্পর্কে বর্ণনা দেয়া এ জাতীয় ব্যাকরণের বিষয় এবং সেই
বিশেষ কালের ভাষার যথাযথ ব্যবহার নির্দেশও এর লক্ষ্য।
২. ঐতিহাসিক ব্যাকরণ: কোন নির্দিষ্ট যুগের ভাষাগত প্রয়োগরীতি আলোচনা
করে আলোচনা এ জাতীয় ব্যাকরণের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
৩. তুলনামূলক ব্যাকরণ: বিশেষ কোন কালের বিভিন্ন ভাষার গঠন ও প্রয়োগরীতির
তুলনামূলক আলোচনা এ জাতীয় ব্যাকরণের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
৪. দার্শনিক—বিচারমূলক ব্যাকরণ: ভাষার অন্তর্নিহিত চিন্তা ও প্রণালি আবি®‥ার ও
অবলম্বন করে সাধারণভাবে কিংবা বিশেষভাবে ভাষার রূপের উৎপত্তি।
উল্লিখিত চারটি বিষয় বাংলা ব্যাকরণের মৌলিক প্রকারভেদ যা সহজে
উপলদ্ধি করা যায়
বাংলা ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজনীয়তা :
ভাষাকে শুদ্ধরূপে জানা ও ব্যবহার করার জন্য ব্যাকরণ পাঠ অপরিহার্য। কারণ
ভাষার চলার পথ সুনির্দিষ্ট করে দেয়া ব্যাকরণের কাজ। নিচে ব্যাকরণের
প্রয়োজনীয়তা সংক্ষেপে দেখানো হল:
১. ভাষার স্বরূপ ও প্রকৃতি জানা।
১. সঠিক উচ্চারণ ও বানান শেখা।
২. শব্দের ব্যবহার, গঠন ও অর্থ নির্ণয়।
৩. বাক্য গঠন ও ভাব প্রকাশ।
৪. কবিতা এবং গানের ছন্দ ও অলঙ্কার জানার ইচ্ছা।
৫. সাহিত্যের দোষ, গুণ সম্বন্ধে জ্ঞান লাভ।
বাংলা ব্যাকরণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যসম্ভার:
- ব্যাকরণ হচ্ছে ভাষার—সংবিধান।
- ভাষা সংক্রান্ত নির্দেশনা অন্তভুর্ক্ত থাকে— ব্যাকরণে।
- ব্যাকরণ শব্দটি ব্যুৎপত্তি— বি + আ+ কৃ+ অন।
- ব্যাকরণ অর্থ— বিশেষভাবে বিশ্লেষণ।
- ব্যাকরণের কাজ— ভাষার অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা আবি®‥ার করা বা ভাষার বিশ্লেষণ।
- প্রাচীন ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষাবিদ— পাণিনি।
- বাংলা ভাষার ‘ব্যাকরণ’ শব্দটি এসেছে— সং¯‥ৃত ভাষা থাকে।
- ভাষার সুনির্দিষ্ট গতিপথ নির্ধারণ করে— ব্যাকরণ।
- ‘ভাষা—প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ’ গ্রন্থের রচয়িতা সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বাংলা ব্যাকরণ বাংলা ভাষা পরিচয়।
- রাজা রামমোহন রায়ের বাংলা ব্যাকরণের নাম গে․ড়ীয় ব্যাকরণ।
- ‘বাংলা শব্দতত্ত্ব’ গ্রন্থের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
- বাংলা ভাষার প্রথম ব্যাকরণ রচনা করেন মানো—এল—দ্যা—আসসুম্পসাঁও।
- বাংলা ভাষার ব্যাকরণ প্রথমে পতুর্গালের রাজধানী লিস্বন শহর থেকে
- রোমান হরফে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হয়।